এফএনএস: যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে দ্য টেলিগ্রাফ। গত শুক্রবার হুমকি দেওয়ার একটি একটি ভিডিও পোস্ট করে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন করায় মা হতে যাওয়া ওই সাংবাদিককে হুমকি দেন টিউলিপ। ভিডিওতে দেখা গেছে, ২০১৬ সাল শেখ হাসিনার শাসনামলে নিখেঁাজ হওয়া ব্রিটিশ—বাংলাদেশি আইনজীবী ব্যারিস্টার আরমানের ব্যাপারে ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপকে প্রশ্ন করেছিলেন চ্যানেল—৪ এর এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। জবাবে সাংবাদিকের উদ্দেশে টিউলিপ বলেছিলেন, ‘খুব সতর্ক থাকুন।’ তিনি হুমকির সুরে বলেন, আমি হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের একজন লেবার এমপি। আমি একজন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য। খুব সাবধান থাকবেন। আমি বাংলাদেশি নই এবং আপনি যার কথা বলছেন, তাদের মামলা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমার বক্তব্য এখানেই শেষ। শেষের দিকে টিউলিপ অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিক ও প্রডিউসার ডেইজি আইলিফকে বলেন, এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ ডেইজি। আশা করি, তোমার সন্তান ভালোভাবে হবে। কারণ, প্রসব খুবই কঠিন। দেখা হবে। এরপরই তার একজন সহকারী ক্যামেরার সামনে হাত দিয়ে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ বন্ধ করতে বলেন। ওই সহকারী সাংবাদিকদের প্রশ্নগুলোকে অপ্রাসঙ্গিক ও বেপরোয়া মন্তব্য করে সাংবাদিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। চ্যানেল—৪ নিউজের প্রধান সংবাদদাতা অ্যালেক্স থমসন টিউলিপ সিদ্দিকের সে মন্তব্যকে হুমকিস্বরূপ বলে অভিহিত করেছেন। যদিও পরবর্তীতে টিউলিপ স্বীকার করেছিলেন যে, তার কথা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী সেই সাংবাদিক আইলিফ গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে তার পুরনো অভিজ্ঞতা নতুন করে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, যখন আমি ২০১৭ সালে টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের সঙ্গে তার রাজনৈতিক যোগসূত্র সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি, তখন তিনি আমাকে ‘সতর্ক থাকতে’ বলেন। এ ঘটনার পর অফকম, পুলিশ এবং আমার বসদের কাছে অভিযোগ করেন এমপি। যদিও কোনো অভিযোগ টেকেনি। কারণ, সৌভাগ্যবশত আসলে যা ঘটেছিল তা ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছে। যদি তা না হতো তাহলে তিনি আমার চাকরি খোয়াতেন। এর আগে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেমের (ব্যারিস্টার আরমান নামে পরিচিত) স্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে।