এফএনএস স্পোর্টস: টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচনে চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। চারজনের সেই তালিকায় স্থান পেয়েছেন ভারতের সূর্যকুমার যাদব, ইংল্যান্ডের স্যাম কারান, জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। মূলত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পারফরম্যান্সের বিচারেই এই অ্যাওয়ার্ডস দিয়ে থাকে আইসিসি। এক বছরে হাজার রানের বেশি করা দ্বিতীয় ব্যাটার ছিলেন সূর্য। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পুরো বছরই আলো ছড়িয়েছেন। এই বছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। ১৮৭.৪৩ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ১ হাজার ১৬৪। এক পঞ্জিকা বর্ষে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ডও তার দখলে- ৬৮। এই বছর দুটি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। সবচেয়ে স্মরণীয় পারফরম্যান্সটি ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নটিংহামে ৫৫ বলে ১১৭ রানের ইনিংসটি। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। বর্ষসেরার লড়াইয়ে থাকা ইংলিশ পেসার স্যাম কারানের পারফরম্যান্সও কম আলোচিত নয়। ১৯ ম্যাচ খেলে ২৫ উইকেট নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ ফাইনালেও ম্যাচসেরা হয়েছেন। স্মরণীয় পারফরম্যান্স বলতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেই। ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের শিরোপা জয়ে অবদান রেখেছেন। পুরোটা বছর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আলোচনায় ছিলেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজাও। ব্যাট-বলে দলকে জেতাতে সমানভাবে ভ‚মিকা রেখেছেন। ১৫০ এর ওপরে স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাট হাতে এই বছরে তার সংগ্রহ ছিল ৭৩৫। নিয়েছেন ২৫টি উইকেট। তবে সবচেয়ে স্মরণীয় পারফরম্যান্স বলতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট ও শেষ বলে রানআউটে অবদান রেখে ১ রানের ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান অবশ্য সূর্যকুমারের পর দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ রান করেছেন। ২৫ ম্যাচ খেলে ৯৯৬ রান করেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। হাফসেঞ্চুরি ছিল ১০টি। সবচেয়ে স্মরণীয় পারফরম্যান্স ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৫১ বলে তার ৮৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে পাকিস্তান ২০০ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে।