স্পোর্টস ডেস্ক \ ‘গত সপ্তাহেরটা চলে গেছে, আমরা এখন এই সপ্তাহের দিকে তাকিয়ে’- ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টির লড়াই শুরুর আগে এই কথা বলেছেন হাইনরিখ মালান। বিশ ওভারের ক্রিকেটে খেলার দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় নিজেদের সম্ভাবনাও বেশি মনে করেন আয়ারল্যান্ডের প্রধান কোচ। সিলেটে ওয়ানডে সিরিজে ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেনি আইরিশরা। বৃষ্টির কারণে এক ম্যাচ ভেসে যাওয়ায় সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ। অন্য দুই ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে স্রেফ উড়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। সেই তিক্ত স্মৃতি ভুলে এবার টি-টোয়েন্টির অপেক্ষায় তারা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সোমবার মাঠে গড়াবে প্রথম ম্যাচ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সামনের দিকে তাকানোর বার্তা দিয়েছেন আইরিশ কোচ। “গত সপ্তাহে যা হয়েছে, তা গত সপ্তাহেই শেষ। আমরা এই বিষয়ে কথা বলেছি। এখন আর গত সপ্তাহের কিছু ব্যাপার নয়। আমরা এখানে ভিন্ন সংস্করণে খেলতে এসেছি। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে আমরা যা করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় ভালো একটি দলের বিপক্ষে তাদের হোম কন্ডিশনে টি-টোয়েন্টি সপ্তাহ কাটাব।” পেছনের হতাশা ভুলে সামনে তাকানোর ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডের সামনে উদাহরণও আছে টাটকা। গত শুক্রবার পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬ উইকেটে হারিয়ে আফগানিস্তান। যে কোনো সংস্করণেই পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানদের প্রথম জয় এটি। মালানের কথায়ও উঠে এলো আফগানদের ওই জয়। তার বিশ্বাস, সংস্করণটি টি-টোয়েন্টি হওয়ায় তার দলের ক্রিকেটাররা মাঠে ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারবে। “দুই দিন পেছনে গেলেই দেখবেন, পাকিস্তানকে হারিয়েছে আফগানিস্তান। সংস্করণ যত ছোট হয়, সব দলের সম্ভাবনা তত বাড়ে, তাই না? আমার মনে হয়, এটিই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রোমাঞ্চকর বিষয়। একটা সময় ধরে আমরাও দেখিয়েছি, যে টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলতে পারি।” “আশা করি, আমরা দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। এখান থেকে আমরা কী প্রত্যাশা করতে পারি, সে ব্যাপারে ছেলেদের এখন ভালো ধারণা আছে। আশা করি, মাঠে ভালো কিছু করে দেখাতে পারব।” টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলেছে আয়ারল্যান্ড। ২০০৯ বিশ্বকাপে দুই দলের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছিল আইরিশরা। ২০১২ সালে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচই হারে তারা। ২০১৬ বিশ্বকাপে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় সবশেষ ম্যাচটি।