বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে জেলে বাওয়ালীদের লাইফ জ্যাকেট বিতরণ ও রেসকিউ বোটের উদবোধন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা : রাস্তায় মানুষের ঢল কালিগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র’র সাথে অনৈতিক কাজের অভিযোগ শ্যামনগরে এসওডির উপর পুনরূজ্জীবিতকরণ রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত কেশবপুরের হাসানপুরে তারুণ্যের ভাবনায় নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা, সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত আশাশুনি সিএস ও এসএ ম্যাপ অনুযায়ী নদী খননের দাবীতে মানববন্ধন কলারোয়ায় যুবদলের কর্মী সমাবেশ কলারোয়ায় স্কাউটস এর ত্রি—বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু

ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস: সংস্কার করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ভবন উদ্বোধন করা হয়। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই—আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কার করা মূলভবন ও এজলাসকক্ষ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হলো। এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, অ্যার্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান বিচারপতি বলেন, এই ভূ—খণ্ডের বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি ‘ঢাকা হাইকোর্ট’ বা ‘পুরাতন হাইকোর্ট ভবন’ হিসেবে যে মহান ঐতিহ্য ধারণ করে আছে, ২০২৪ এর জুলাই—আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনয়ন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচারের খাগর নীতিগুলোর অনুসরণের মাধ্যমে তা নতুন মাত্রায় পূর্ণতা পাবে। ট্রাইব্যুনালের প্রতি প্রধান বিচারপতির প্রত্যাশা সম্পর্কে তিনি বলেন, একজন সাধারণ নাগরিক তার হৃদয় উৎসারিত অকৃত্রিম চেতনাবোধ থেকে সমগ্র জাতির নৈতিক সমর্থনপুষ্ট একটি গণজোয়ার রুখতে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি যে প্রত্যাশা রাখেন প্রধান বিচারপতিও ঠিক অনুরূপ প্রত্যাশা রাখেন। নতুন রূপে সজ্জিত হওয়া ভবনটি ১৯০৫ সালে ‘গভর্নর হাউজ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত পুরাতন হাইকোর্ট ভবনটি পাকিস্তান আমল থেকে ‘ঢাকা হাইকোর্ট’ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিলো। ২০১০ সালে শুরু হওয়া একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের পুরো বিচার কাজ সম্পন্ন হয় এই ভবনে। তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর ব্যবহার কমে আসে ভবনটির। তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় শেখ হাসিনা সরকারের সময় ট্রাইব্যুনালটি পাশের টিনশেড স্থাপনায় স্থানান্তর করা হয়। জানা যায়, পূর্ত মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন পুরাকীর্তি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে ভবনটি ‘ব্যবহার অনুপযোগী’ ও ‘পরিত্যক্ত’ ঘোষণা করে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার আগেই জুলাই—আগস্টের অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে পতন হয় আওয়ামী ফ্যাসিজমের। গত ১৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্যদিয়ে শুরু হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম। ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ঐতিহাসিক এ ভবনের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় আপাতত ভবন সংলগ্ন অস্থায়ী টিনশেড ঘরেই চলছিল ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম। এর আগে সংস্কার কাজ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন যে নান্দনিক রূপে দেখা যাবে তার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পুরাতন হাইকোর্ট ভবনটির এই সংস্কার কাজ গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পন্ন করেছে। সংস্কার কাজ মনিটরিংয়ে কয়েক দফা সরেজমিন পরিদর্শন করেছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com