এফএনএস বিদেশ : আপাতত ঘুষ মামলা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে ঘুষ প্রদান ও নথি জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার রায় খারিজের আবেদন করেছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। গত সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ম্যানহাটনের বিচারক জুয়ান এম. মার্চান। ফলে ঐতিহাসিক এই মামলার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। ৪১ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক মার্চান বলেন,‘ব্যক্তিগত কারণে ব্যবসায়িক নথি জালিয়াতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাই এই মামলার বিচারকাজ তার কার্যনির্বাহী কর্তৃত্ব এবং সেটির বাস্তবায়নের ওপর কোনো হুমকি তৈরি করবে না।’ ফলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা খারিজে সায় দেননি তিনি। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জালিয়াতির মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক নথিতে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। এ—সংক্রান্ত মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়। গত মে মাসে নিউইয়র্কের একটি আদালতে সব কটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। এমনকি এই মামলায় তার সাজা ঘোষণার তারিখও গত ২৬ নভেম্বর নির্ধারণ করেছিল আদালত। তবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। তখন বিচারপতি মার্চান তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার তারিখ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ এর আগে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট একটি আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প যেসব প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করেছেন, সেসবের জন্য তিনি দায়মুক্ত থাকবেন বলে ঘোষণা করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশের ভিত্তিতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে এই মামলা বাতিল করার আবেদন করেছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কারণে ট্রাম্প বিচারের আওতামুক্ত। তা ছাড়া ট্রাম্পই এখন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। যদি তার মাথার ওপর এ মামলা ঝুলে থাকে, তবে তার সরকার পরিচালনার কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প।