এফএনএস লাইফস্টাইল: বেড়েছে শীতের প্রকোপ। শীতকালে অনেককেই ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন। টনসিল, সাইনাস, কাশিসহ নানা সমস্যা এ সময় বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এইসব রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা ঘরে বসেই নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আদা হতে পারে উপকারী বন্ধু। আদায় রয়েছে সংক্রমণরোধী নানা উপাদান। তাই আদার রস ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। আসুন জেনে নেই, আদার ৩ রকমের মিশ্রণ নিয়ে- আদা ফোটানো পানি : গলাব্যথা, সর্দি-কাশির সমস্যায় আদা ফোটানো পানি বেশ উপকারী। আধা কাপ আদা কুচি করে কেটে নিতে হবে। এবার একটি পাত্রে তিন পোয়া পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে আদা কুচি দিন এবং পানি ফুটিয়ে নিন। পানি কমে যখন এককাপের মতো হবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিন। উষ্ণ গরম মিশ্রণটি পান করুন। প্রতিদিন সকাল ও রাতে এই মিশ্রণ খেলে উপকার পাবেন। আদা ও মধুর মিশ্রণ : এক টেবিলচামচ আদার রস ও এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুবার খেতে হবে। আদা ও মধু ঠান্ডাজনিত সব সমস্যার জন্য দারুণ উপকারি। তবে গর্ভবতী মায়েরা এই মিশ্রণ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। আদা, লেবু ও মধু : লেবুও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় অনেক উপকারী। লেবু রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। আদার রস কিংবা আদা ফোটানো পানির সঙ্গে লেবু ও মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন। সাইনাসের কারণে নাক বন্ধ হলে এই মিশ্রণটি কার্যকর। আদা চা : সকালবেলার এককাপ আদা চা সারাদিনের তরতাজা অনুভূতি এনে দিতে পারে। আদা চা ঠান্ডার সমস্যা দূর করতে বেশ উপকারী। তবে মনে রাখা ভাল- গর্ভবতী মায়েদের আদা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাদেরও আদা খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। আদা খেতে হবে পরিমাণমতো। অতিরিক্ত আদা খেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং বুক জ¦ালাপোড়া করতে পারে। আদার মিশ্রণ কেবল ঠান্ডাজনিত সমস্যার প্রাথমিক অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে। সমস্যা বেড়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও আদা কার্যকর। তো, আদাজল খেয়ে এবার লেগে পড়ুন।