বহুদিন ধরে আমি একটি ঠিকানা খুঁজছি
যে ঠিকানায় আমি প্রতিদিন চিঠি লিখবো।
আমার দুঃখ কষ্ট, অভিমানগুলো
কলমের কালিতে লিখে পাঠিয়ে দেবো।
কষ্টগুলো জমতে জমতে পাহাড় হয়ে গেছে
কিন্তু কাউকে বলা যায় না।
প্রিয়জন বন্ধুরা শুনলে হেসে উড়িয়ে দেবে-
তোমার আমার কষ্ট কিসের?
দুঃখ বিলাস করো?
অন্যেরা শুনলে লজ্জা দেবে, কষ্ট দেবে।
এই লুকিয়ে রাখা কষ্টগুলো ভাগ করতে
আমি একটা ঠিকানা খুঁজছি।
মা থাকলে ঠিকানা খুঁজতে হতো না
মুখ দেখে ঠিকই বলতেন
কি হয়েছে রে খোকা?
বড় অভিনেতাও মায়ের কাছে
কিছুই লুকাতে পারে না।
ছাত্র জীবনের বন্ধুরা থাকলেও
ঠিকানা খুঁজতে হতো না
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ঠিকই বের করতো
গর্তে লুকানো কষ্টগুলো।
এখন মা নেই বন্ধু গুলো
কোথায় হারিয়ে গেছে
জীবনের ব্যস্ত গহ্বরে
আমার মনে বালু কণার মতো
অপ্রকাশিত কষ্ট জমতে জমতে
পাহাড় হয়ে গেলো
জানানোর কাউকে খুঁজেই পাই না।
বিরাট একটা ছাতার মতো
আবৃত করি পরিবার স্বজনদের।
ওরা এর নিচে বসে নিশ্চিন্তে
জীবন কাটায়, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
রোদ বৃষ্টিতে আমারও যে কষ্ট হয়
আমার চোখের জলও যে বৃষ্টির
জলের সাথে মিশে একাকার হয়
কেউ তার খোঁজই রাখলো না!
আমি একটা ঠিকানা খুঁজছি
আমার কষ্টগুলো
উগরে ফেলার ঠিকানা!