ডুমুরিয়া প্রতিনিধি \ ডুমুরিয়ার খর্ণিয়ায় চরমপন্থী ও আওয়ামীলীগের দোসর কথিত মৎস্য আড়ত মালিক পঞ্চানন কুন্ডু ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই বিএনপি নেতার নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ সম্মেলন করেছে। আওয়ামী শাসনামলে বিএনপি করার অপরাধে ওই আড়তে কর্মরত একাধিক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে নেয়া জামানত ও সমিতির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখার অপরাধে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এমনটি দাবি করে গতকাল সোমবার দুপুরে খর্ণিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শেখ দিদারুল হোসেন দিদার। লিখিত বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী শাসনামলে তৎকালীন নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান মৃনাল বাহিনীর আশ্রয়দাতা ও ফ্যাসিস্টের দোসর পঞ্চানন কুন্ডু তার সহযোগিদের সহযোগিতায় সরকারি আইন উপেক্ষা করে খর্ণিয়া বাজারে একটি মৎস্য আড়ত গড়ে তোলে। ওই আড়তে শত শত ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা জামানত ও সমিতির অনুকূলে সঞ্চয় দিয়ে ব্যবসায়ী কার্যক্রম শুরু করে। কিছু দিন যেতে না যেতেই বিএনপি করার অপরাধে ব্যবসায়ীদের জামানত ও সমিতির নামে সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত না দিয়ে তাদেরকে বিতাড়িত করা হয়। সম্প্রতি জামানত ও সঞ্চয়ের টাকা পুনরুদ্ধারের দাবিতে ওই ব্যবসায়ীরা চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়। এ ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান সকল ব্যবসায়ী ও ঘর মালিককে মতবিনিময় করার জন্য আহ্বান করেন। এরপর থেকে এলাকায় জুয়াড়ি হিসেবে চিহ্নিত পঞ্চানন কুন্ডু ও তার দোসরদের গাত্রদাহ শুরু হয়। তারই অংশ হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শেখ দিদারুল হোসেন দিদার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহিনুর রহমান ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ—সভাপতি শেখ রেজোয়ান হোসেনের সম্মানহানি ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে আড়তের একটি ঘরে তালা, টাকার বিনিময়ে বালুরবেড স্থাপন ও ইটভাটা দখলের চেষ্টা এমন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন পঞ্চানন কুন্ডু। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পঞ্চানন তার অনুসারীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত গভীর রাতে আড়তে গোপন বৈঠকে লিপ্ত হন। এ নিয়ে আমরা ভীত সন্ত্রস্ত। আশু ওই চক্রের প্রতি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে জীবননাশ সহ বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ—সভাপতি সরদার আবুল হোসেন, ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা সরদার আঃ হালিম, শেখ রবিউল ইসলাম, ফজলুল মোড়ল, আলাউদ্দিন গাজী, কালাম বিশ্বাস, আজিজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও ফরিদুল ইসলাম।