ডুমুরিয়া প্রতিনিধি \ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ছাদের রড বের হয়ে আছে। দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল। বিমেও ফাটলের দাগ। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে মেঝে ভিজে যায়। সেখানে চলছে অফিসের কার্যক্রম। এ অবস্থা ডুমুরিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভবনটি। ফলে সব সময় ঝুঁকিতে থাকতে হয় অফিসের কর্মকর্তা—কর্মচারী ও সেবা প্রত্যাশীদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ভবনটির অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে দেখা যায়, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ের একতলা ভবনটির পুরো ছাদেই ফাটল। ভবনটির ছাদের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ায় ভেতরের রড ও ইটের সুরকি দেখা যাচ্ছে। দেয়ালের বিমজুড়ে বড় বড় ফাটল ও ঝুঁকিপূর্ণ। কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। কক্ষের বিভিন্ন স্থানে ফাটল। কক্ষের ছাদের রড ও ইটের সুরকি দেখা যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। এই ভবনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কর্মকর্তা—কর্মচারীরা থাকেন। তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন। ডুমুরিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহাঙ্গীর আলম’দৈনিক সকালের সংবাদ’ পত্রিকার প্রতিবেদক, খান আরিফুজ্জামান (নয়ন) কে বলেন, ‘ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। মাঝেমধ্যেই লোকজনের মাথায় ছাদ থেকে পলেস্তারার বড় টুকরা খসে পড়ে। ছাদের দিকে তাকালেই ভয় হয়। কখন যেনো আমার ওপরও পলেস্তারা খসে পড়ে! তিনি আরোও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ভবনটির বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে যেতে পারে। তাঁরা নিজেরাও দায়িত্ব পালনকালে ভয়ে থাকেন। গত ২০২৪ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছিলেন দ্রুতই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সংস্কার করা হবে কিন্তু এখনোও কোন প্রস্তাবই আলোর মুখ দেখেনী। বিকল্প কোন পথ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে অফিসের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।ভবনটি এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, এখন আর সংস্কার করলেও কোনো কাজে আসছে না। ভবনের রডের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি একাধিক বার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোন সুফল আসছে না। অতি দ্রুত ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দাবি জানিয়েছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ সহকারী প্রকৌশলী। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল হাসান বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি।দ্রুতই যাতে ভবনটি সংস্কার করা যায় এমন প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে দেওয়া হয়েছে।