ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি \ ডুমুরিয়ায় প্রায় ৪ যুগেরও বেশি ধরে পতিত সরকারি রাস্তা দখলে নিয়ে মৎস্য ঘের করে বসে আছে স্থানীয় দু’ সহোদর। পতিত ওই জমি দখল করে নেয়ার ফলে দুই গ্রামের জনসাধারণের বিলে যাওয়া এবং ফসল আনা নেওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে এর প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী ধর্ণা দিয়ে আসলেও আজও সুরাহা হয়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্থানীয় সার্ভেয়ার নিয়োগ করে সীমানা নির্ধারণ করেছে তারা। উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের পাচুড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,পাচুড়িয়া নদীর কুল ঘেঁষে সরকারি রাস্তা দিয়ে এলাকাবাসী বিলে যাওয়া, ফসল আনা নেওয়ার কাজ চালিয়ে আসছিল। হঠাৎ ওই রাস্তার কিছু অংশ পাচুড়িয়া নদীতে বিলীন হলে স্থানীয় সুকেশ ও সুকৃতি রক্ষিত নামে দুই সহোদর পাশে তাদের পৈত্রিক জমি থাকার সুবাদে রাস্তার কিছু অংশ দখল করে মৎস্য চাষ শুরু করে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে এলাকাবাসী। এ প্রসঙ্গে কথা হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম সর্দার,নুর আলী বিশ্বাস, আবুল হোসেন সরদার, আসাদ শেখ সহ অনেকের সাথে। তারা অভিযোগ করে বলেন, সুকেশ ও সুকৃতি রক্ষিত নামে দুই সহোদর বিভিন্ন সময়ে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের সরকারি রাস্তাটি অবৈধভাবে দখল করে মৎস্য চাষ করে আসছেন। আমরা বিভিন্ন দপ্তরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে আজও প্রতিকার পায়নি। যে কারণে কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে রাস্তাটি উন্মুক্ত করার দাবিতে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৪ যুগেও ওই রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করেছে এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য কেউ দিতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সার্ভেয়ার রুহুল আমিন বিশ্বাস বলেন,পরিমাপ করে দেখা গেছে প্রায় ২১ ফুট চওড়া বিশিষ্ট সরকারি রাস্তা সহ স্থানীয় বজলুর রহমান বুলু, শেখ আসাদ সহ বেশ কয়েক জনের রেকর্ডীয় জমির কিছু অংশ ওই মৎস্য ঘেরের মধ্যে এবং এরাও সরকারি রাস্তার মধ্যে ঢুকে রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুকেশ ও সুকৃতি বলেন, তাদের মৎস্য ঘেরের মধ্যে সরকারি রাস্তা রয়েছে ঠিকই,আমি সরকারি রাজস্ব দিয়ে ভোগ দখলে আছি। কিন্তু অভিযোগ কারিদের অনেকেই রাস্তা দখল করে আছে দীর্ঘ দিন। তবে রাস্তা দখলকারী সকলে যদি জায়গা ছেড়ে দিয়ে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সেক্ষেত্রে রাস্তার জায়গা ছেড়ে দিতে আমার আপত্তি নেই।