এফএনএস: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চারদিক থেকেই নানা রকম বিপদ আমাদের হুমকি দিচ্ছে। ডেঙ্গু থেকে সাবধান। ডেঙ্গুর মতো ভয়ংকর বিএনপি থেকে সাবধান। আজকে দেশের প্রধান দুই শত্রæ, এক শত্রæ বিএনপি আরেক শত্রæ ডেঙ্গু। আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে এই শত্রæর প্রতিরোধ করি। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের জীবন ডেঙ্গুর হাতে নিরাপদ নয়। আর বাংলাদেশের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের অসা¤প্রদায়িক মানবতাবাদ বিএনপিতে নিরাপদ নয়। ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়ংকর বিএনপিকে আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু কর্মসূচি পালন করে না। মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে আমাদের এগিয়ে আসতে হয়। আমাদের বাঁচতে হলে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। শুধু রাজনীতি করলে হবে না। আজ মানুষকে বাঁচানোর রাজনীতি সবার আগে। ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা উচিত। এ ব্যাপারে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। বিএনপি তাকিয়ে আছে শুধুমাত্র আমেরিকার দিকে। কখন নিষেধাজ্ঞে আসবে, কখন ভিসানীতি আসবে, ভিসানীতি আর নিষেধাজ্ঞার কথা ভেবে ভেবে আটলান্টিকের দিকে তাকাতে তাকাতে তাদের চোখের পাওয়ার কমে গেছে। এখন আর তাকিয়ে কিছু দেখতে পায় না। কেন ভিসানীতি আসে না? কেন নিষেধাজ্ঞা দেয় না? এসব চিন্তা করে ফখরুলের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ওসব বিষয় নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। আমরা পাবলিকের দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদের পাবলিক ক্ষমতা রাখলে আমরা থাকব। পাবলিক না রাখলে আমরা চলে যাব। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে পাচার করা অর্থ নিয়ে চিন্তায় নাকি আমরা বিভোর৷ বিদেশে অর্থপাচার কারা করেছে, সেটা ধরা পড়ে গেছে, এফবিআই সাক্ষ্য দিয়েছে। মামলায় দ্ব›িদ্বত তাদের নেতা বিদেশের পালিয়ে গেছে। কথায় কথায় পলায়নের কথা বলে ফখরুল এবং মির্জা আব্বাস। লজ্জা করে না? আপনাদের দলের এখন যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান তিনি তো দÐিত পলাতক। পলাতক নেতাই হলো আপনাদের তারেক রহমান। আমরা পালাব কেন? কোথায় পালাব? আমরা কোথায় পালাব না। পালিয়েছেন আপনারা, ওই কথার জবাব দেন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের কেন সৎ সাহস নেই দেশে এসে আন্দোলনে করে আপনাদের এক দফার বাণী প্রচার করতে? এই কাপুরুষ, এই ভীরু,পলাতক নেতার নেতৃত্বে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন বাস্তবায়িত হয়নি, রিমোট কন্ট্রোল আন্দোলন বাংলাদেশে হয় না। বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, আমরা এই সম্পর্কে কোনো কথা বলতে চাই না। নির্বাচনের ব্যাপারে ভারত বা কোনো বিদেশি শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাবে, ক্ষমতাচ্যুত করবে, যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে, তাদের মন্তব্য করা অশোভন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। ৭৫-এ আমরা ক্ষমতা হারিয়েছি, তখন তো ভারত আমাদের ক্ষমতা বসিয়ে দেয়নি। ২০০১ সালে আমাদের ক্ষমতা চলে গেছে, জনগণ চাইলে আমরা ক্ষমতায় থেকে চলে গেছি। তবে ষড়যন্ত্রের বিষয় তো আছে। তিনি আরও বলেন, যারা ভারতের হস্তক্ষেপ বলেন তাহলে একাত্তর সালে কি হয়েছিল? ভারত আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল। তাদের সৈন্যরা রক্ত দিয়েছে। আমাদের লোকজনকে আশ্রয় দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, সেটা কি অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ নয়? সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের ভ‚খÐে গিয়ে জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন, সেটা কার হস্তক্ষেপ? অভিন্ন ইস্যু, আজকে আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারত ও আমেরিকার এই ভ‚খÐে অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে তারা একে অন্যকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণের বিষয়ে, নির্বাচনে বিষয়ে, ভারতে একবারও বলে না যে, তারা অমুককে চায়। অমুককে চায় না। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা কর্মসূচি অনুষ্ঠানে ডা. প্রাণ গোপালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।