এফএনএস স্পোর্টস: বছরখানেক আগে যাদেরকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি মিলেছিল, সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই লড়াই। তাই ইতালির বরং একটু হলেও বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকার কথা ছিল। তবে দলটির কোচ রবের্তো মানচিনির কণ্ঠে ভিন্ন সুর। উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচটি ড্র করতে পেরেই যেন খুশি তিনি। ম্যাচের পর কোনোরকম রাখঢাক না রেখে তিনি বললেন, ম্যাচটি নিয়ে তেমন আশাবাদী ছিলেন না তিনি। তার ভাবনার চেয়েও নাকি তার দল ভালো খেলেছে। ‘এ’ লিগের ৩ নম্বর গ্র“পে গত শনিবারের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। গত বছরের জুলাইয়ে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছিল ইতালি। ওই ম্যাচের পর প্রথমবার দেখা হলো দল দুটির। কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হওয়ার পর মানচিনি দলকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেন। এরপর চলতি মাসের প্রথম দিনে নতুন শুরুর ঘোষণা দিয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ‘ফিনালিস্সিমা’ নামের ম্যাচটি তারা হেরে যায় ৩-০ গোলে। নেশন্স লিগে তাই দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন মানচিনি। সুযোগ দিচ্ছেন তরুণ ও সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের। এবারের আন্তর্জাতিক উইন্ডো শুরুর আগে তাদের স্কোয়াডের অনেক খেলোয়াড়ের জাতীয় দলের হয়ে অভিজ্ঞতা ছিল ১০টির মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও অপেক্ষাকৃত অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন মানচিনি। আগের ম্যাচ থেকে শুরুর একাদশে ৯টি পরিবর্তন এনেছিলেন তিনি। এরপরও খুব একটা খারাপ করেনি ২০০৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জয় নিয়েও মাঠ ছাড়তে পারত তারা। ম্যাচে ইতালি তাদের সেরা সুযোগটা পায় দ্বিতীয় মিনিটেই। লরেন্সো পেলেগ্রিনি থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন দাভিদে ফ্রাত্তেজিকে। তার সামনে একমাত্র বাধা ছিলেন গোলরক্ষক। কিন্তু বল বাইরে মারেন ২২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মানচিনির কণ্ঠে ফুটে উঠল ওই গোল মিসের হতাশা। তবে ফলাফল নিয়ে খুশি সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি কোচ। তিনি মনে করেন, আশাতীত ভালো খেলেছে তার অনভিজ্ঞ দল। “সত্যি বলতে, আমি এতটা আশা করিনি। খারাপ কিছুর ধারণা করেছিলাম। আমাদের এখনও অনেক কাজ বাকি, সামনে সমস্যাঘেরা দীর্ঘ পথ। আমাদের অবশ্যই আরও গোল করতে হবে এবং দাভিদে ফ্রাত্তেজি যদি শুরুর পাঁচ মিনিটে গোল করতে পারত, তাহলে এটি একটি ভিন্ন ম্যাচ হত। পরের বার সে এটা (গোল) পাবে।” “এই তিন সপ্তাহে একটা দল হয়ে থেকে আমরা এতটা ভালো করতে পারব, আশা করিনি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা আমাদের খেলার ধরনে পরিবর্তন করিনি, এমনকি খেলোয়াড় পরিবর্তন হলেও।” নেশন্স লিগে দারুণ জমে ওঠা এই গ্র“পে ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইতালি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বর স্থানে হাঙ্গেরি। তিনে থাকা জার্মানির পয়েন্ট ৩। ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে ইংল্যান্ড।