স্পিনার তানভীর ইসলামের বোলিং এবং তামিম ইকবালের ব্যাটিং নৈপুন্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি—টোয়েন্টি ক্রিকেটে জয়ের ধারায় ফিরলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। গতকাল ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। ৬ ম্যাচে ৪ জয় ও ২ হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে উঠলো বরিশাল। প্রথম সাত ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেলেও আবারও হারের বৃত্তে পড়লো ঢাকা। ৮ ম্যাচে ১ জয় ও ৭ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে আছে ঢাকা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮ বলে ৩১ রানের সূচনা করেন ঢাকার দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। আগের ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন তানজিদ ও লিটন। রাজশাহীর বিপক্ষে ৫৫ বলে অপরাজিত ১২৫ রান করা লিটন বরিশালের পেসার রিপন মন্ডলের শিকার হবার আগে ১৭ বলে ১৩ রান করেন। লিটন ফেরার পর বরিশালের বাঁ—হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৬ উইকেটে ১০০ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। মিডল অর্ডারে সাব্বির রহমানকে ১০, অধিনায়ক থিসারা পেরেরাকে শূন্য ও মোসাদ্দেক হোসেনকে ১১ রানে আউট করেন তানভীর। সতীর্থদের আসা—যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে লড়াই করেছেন রাজশাহীর বিপক্ষে ৬৪ বলে ১০৮ রান করা তানজিদ। ৩৯ বলে টি—টোয়েন্টিতে নবম ও চলতি বিপিএলে তৃতীয় হাফ—সেঞ্চুরির ইনিংস পূর্ণ করেন তানজিদ। ১৭তম ওভারে ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তানজিদ। ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৪ বলে ৬২ রান করেন এই বাঁ—হাতি ব্যাটার। দলীয় ১২০ রানে তানজিদ ফেরার পর ফারমানুল্লাহর ১৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ২২ রানের ইনিংসের উপর ভর করে সম্মানজনক সংগ্রহ পায় ঢাকা। ১৯.৩ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয় ঢাকা। আগের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে ১ উইকেটে ২৫৪ রান করে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলো ঢাকা। বল হাতে ৩ ওভারে ৩৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তানভীর। ২৩ রানে ২ উইকেট নেন ফাহিম। ১৪০ রানের জবাবে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় বরিশাল। ২ রানে ঢাকার পেসার আবু জায়েদের শিকার হন নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতেই শান্তকে হারানোর পরও পাওয়ার প্লেতে দলের রান ৪৭’এ নেন আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং ডেভিড মালান। ১৫তম ওভারে টি—টোয়েন্টিতে ৫৩তম ও এবারের আসরে দ্বিতীয় হাফ—সেঞ্চুরি করেন ৪৪ বল খেলা তামিম। পরের ওভারে দলীয় ১২৫ রানে পেরেরার বলে বোল্ড হন তামিম। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৮ বলে ৬১ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে মালানের সাথে ৮০ বলে ১১৭ রানের জুটিতে বরিশালের জয়ের ভিত গড়ে দেন তামিম। এরপর ৬ বলে ২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২৪ বল বাকী থাকতে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন মালান ও জাহানদাদ খান । ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় মালান ৪১ বলে অপরাজিত ৪৯ এবং জাহানদাদ ২টি ছক্কায় ৪ বলে অনবদ্য ১৩ রান করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম।