এফএনএস বিদেশ : তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সা¤প্রতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাইওয়ান সীমানার কাছে তৃতীয় দিনের মতো সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। চীনা যুদ্ধজাহাজ সপ্তাহান্তে স্ব-শাসিত সিমুলেটেড দ্বীপে হামলা চালিয়েছে। গতকাল সোমবার তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীন তাইওয়ানের আশপাশে ৭০টি চীনা সামরিক বিমান এবং ১১টি যুদ্ধ জাহাজ অবস্থান করছে। জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের সরকারী নাম ‘রিপাবলিক অফ চায়না’ উল্লেখ করে বলা হয়েছে,আরওসি সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং সিএপি বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ভ‚মি-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে এই কার্যকলাপগুলির প্রতিক্রিয়া জানানোর দায়িত্ব দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সনাক্ত করা বিমানগুলির মধ্যে ৩৫টি তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে এবং সেই এলাকার বায়ু প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। গত রোববার চীনের রাষ্ট্রীয় স¤প্রচারকারী টেলিভিশন সিসিটিভি বলেছে, ওই অনুশীলনগুলির প্রধান লক্ষ্যবস্তু তাইওয়ান দ্বীপ এবং আশেপাশের এলাকার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। “জয়েন্ট সোর্ড” নামে ডাকা ৩ দিনের অভিযানের উদ্দেশ্য তাইওয়ানকে ঘেরাও করা যা বেইজিং তার এলাকা হিসাবে দাবি করে। গতকাল সোমবারের মহড়ায় চীনের ফুজিয়ান প্রদেশ থেকে লাইভ-ফায়ার অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা তাইওয়ানের মাতসু দ্বীপের দক্ষিণে প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দূরে অবস্থিত। ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সাথে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের বৈঠক বেইজিং থেকে একটি ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ার উদ্রেক করেছিল, যা রাজনীতিবিদ এবং তার জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্রের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চিহ্নিত করেছে। তাইওয়ান একটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক এলাকা যার প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ মর্যাদা ১৯২৭ থেকে ১৯৪৯ সালে চীনা গৃহযুদ্ধের ফলাফলের রুপ। তবে তাইওয়ানের মূল ভ‚খÐ চীন থেকে পৃথকভাবে শাসিত হয় কিন্তু এই এলাকা আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র কয়েকটি দেশ দ্বারা স্বীকৃত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয় নাই তবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের একতরফা প্রচেষ্টার বিরোধিতা প্রকাশ করেছে এবং কয়েক দশক ধরে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে দ্বীপের প্রতিরক্ষাকে সমর্থন করেছে।