তালা প্রতিনিধি \ বর্তমান বাংলাদেশের গ্রাম থেকে শহর আর শহর থেকে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে পরকীয়া নামক এক অভিশাপ্ত অধ্যায়ের। প্রেমের মোহে পড়ে কে আপন আর কে বা পর রূপকথার কাল্পনিক গল্পের মত পরীর সন্ধানে আত্মপ্রকাশ ঘোটে চলেছে।একদিকে নারী খুঁজছে তার মনের মত সাথী, অন্যদিকে পুরুষও পিছিয়ে নেই! রমণীর সঙ্গ পেতে প্রতিনিয়ত খুঁজে চলেছে সুন্দরী কন্যা বা অন্যের স্ত্রী সন্ধন। প্রেমের রঙ্গ মেলায় ভুলে যাচ্ছে ধর্ম. জাতি. বর্ণ বন্ধুত্ব বা আত্মীয়তার সম্পর্ক। অনুসন্ধানে জানাগেছে, শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের শিরাশুনি গুচ্ছগ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৮) ও তার দুঃসম্পর্কের চাচাতো দেবর হান্নান শেখ (৪৫) এর সাথে দীর্ঘ ২০ বছরের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। ফরিদা বেগমের স্বামী আব্দুল মান্নান শেখ মৃত্যুকালে দুই ছেলে এক মেয়ে রেখে যান। এদিকে হান্নান শেখ এক মেয়ে ও ৭ বছরের এক শিশু ছেলেকে রেখে পরকীয়া প্রেমের বন্ধনে প্রেমিকা ফরিদা বেগমের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তার এই অপমৃত্যুর বেদনায় স্ত্রী হালিমার ওরসে কন্যা, শিশু ছেলের কান্নার মাতম চলছে বাড়িতে। এ ঘটনায় তালার শিরাশুনির গুচ্ছগ্রামের হালিমা খাতুন জানান, আমার বিয়ের পর থেকে ফরিদার সাথে পরকীয়া প্রেম চলছিল। আমার স্বামীকে অনেকবার বুঝিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু সে ফেরেনি। আমার স্বামী এবং ফরিদাকে নিয়ে প্রায়ই এলাকার মানুষ সালিশ বিচার করতো। কিন্তু সে প্রতিনিয়ত ফরিদার ওখানে যাতায়াত করত। মৃত্যুর আগের দিন রাতে ফরিদা এবং আমার স্বামী হান্নান মারামারি করে। ওই রাতে আমার স্বামী বাড়িতে আসেনি। সকালে আমার স্বামীকে মেরে আম গাছে ঝুলিয়ে রাখে ফরিদা। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারী ফরিদা বেগমের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এদিকে পরকীয়া প্রেমিকা ফরিদা বেগম পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় তালা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তালা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।