তালা প্রতিনিধি \ তালার খেশরার ডুমুরিয়া ও শাহাজাতপুর অঞ্চলে কপোতাক্ষ নদের ৪টি স্থানে বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ক্ষেতের পাকা ধান ঘরে তোলার আশঙ্কায় অতিবাহিত করছেন কৃষকরা। যেকোনো মুহুর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. রাসেল।সরেজমিন দেখা যায়, কপোতাক্ষ নদের ডুমুরিয়া ও শাহাজাতপুর অংশে ডুমুরিয়ার তাঁতিপাড়া, শফিকুলের ঘেরের মাথা, গোওলা খেয়াঘাট সংলগ্ন ও শাহাজাতপুরের পুণ্ডলিকপাড়া অঞ্চলে বেড়িবাঁধে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ২ টি স্থান দিয়ে জোয়ারের সময় ফসলের ক্ষেতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ডুমুরিয়া গ্রামের আতিয়ার মোড়ল, আসাদুল ইসলাম, রওশন সরদার, মোসলেম মোড়ল, স্কুল শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম, আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, গত ৫ বছর পূর্বে সরকারী অর্থায়নে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ তৈরী করা হয়েছিলো। সে সময় যথাযথ নিয়ম না মেনে যেনতেন ভাবে বাঁধ তৈরী করায় আবারও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এখন ধান কাঁটার মৌসুম। সারাবছর খেয়ে পরে বেঁচে থাকার একমাত্র ফসল ধান। এই বাঁধ ভেঙ্গে লোনা পানি যদি ধানের ক্ষেতে ঢুকে পড়ে তাহলে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা এস এম লিয়াকত হোসেন বলেন, কপোতাক্ষ নদের তালার খেশরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া শাহাজাতপুর অঞ্চলের ৪টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে বাঁধ ভেঙ্গে ফসলের জমিতে পানি ঢুকে যেতে পারে। এই বাঁধ ভেঙ্গে গেলে উপজেলার খেশরা, খলিষখালী, মাগুরা ও জালালপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ প্লাবিত হবে। এই অঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা পাকা ধান, মাছের ঘের, সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে যাবে। কপোতাক্ষের পানি লোনা হওয়ায় আম কাঁঠালের গাছসহ অধিকাংশ মারা যেতে পারে। এই অঞ্চলে মাটির বাঁধ দিলে টিকবে না। এই ভাঙ্গন এলাকা গুলো ব্লক তৈরী করে বাঁধ দিলে হয়ত টিকতে পারে। খবর পেয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল বলেন, তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া শাহাজাতপুর অংশে কপোতাক্ষ নদের ৪টি স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ২ স্থান দ্রুত সংস্কারের জন্য আশু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য।সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। এলাকা পরিদর্শনের জন্য একজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনের রির্পোটের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।