স্টাফ রিপোর্টার ঃ চলছে করোনাকাল। মহামারী করোনা ভাইরাস ওমিক্রনের তান্ডব হতে রক্ষা পেতে কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেছে। কিন্তু মোবাইলে, অনলাইনে পাঠদান চলছে। শিক্ষকরা বাড়ীতে বাড়ীতে যেয়েও শিক্ষার্থীদের পাঠদান সহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করছেন। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অধিদপ্তরের জরুরী নির্দেশনা বাস্তবায়নে তত্ত¡াবধান করছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহ উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা বিভাগীয় কর্মকর্তরা। গতকালের ঘটনা মোবাইলে, অনলাইনে পাঠদানে শিক্ষক আর শিক্ষার্থীদের বাস্তব পরিস্থিতি অবলোকনে তালা উপজেলার সুভাষিনী ও সৈয়দ দিদার বখত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন সাতক্ষীরার প্রাথমিকের বাতিঘর খ্যাত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: রুহুল আমীন। শিক্ষকরা মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের ও অবিভাবকদের সাথে কথা বলেছেন, পাঠদান করেছেন প্রত্যক্ষ করে চলেছেন। তিনি নিজেও শিক্ষার্থীকে মোবাইলে পাঠদান করছেন, একের পর এক শিক্ষার্থী পাঠদানের এক পর্যায়ে কয়েক শিক্ষার্থীকে এবং তাদের অভিভাবকদের ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেননা শিক্ষক। পরিদর্শনরত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারও চেষ্টা করলেন কিন্তু ফোন বন্ধ। এবার বের হলেন বাতিঘর খ্যাত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কয়েক শিক্ষার্থীর বাড়ীর খোজে। গ্রামের আকাব্যাকা মেঠোপথ বেয়ে তালার সুভাষিনীর দুর্গম গ্রামে পৌছন সুভাষিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোনালীর বাড়ীতে। নানা বাড়ীতে থাকে, সোনালীকে আদরে আহবানে, আন্তরিকতায় পাঠদান করলেন। পিতা মাতার খোজ নিলেন, মায়ের সাথে কথা বললেন। সৈয়দ দিদার বখত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনির শিক্ষার্থী আছিয়া আক্তার মরিয়মের বাড়ীতেও পাঁয়ে হেটে পৌছলেন। আছিয়ার পরিবার প্রথমে পরিচয় জানতে পারেনি, পরে জানলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাদের বাড়ীতে, একেএকে এলাকা বাসি জড়ো হতে থাকলেন। উপস্থিত জনসাধারন দেখলেন পরম স্নেহে আছিয়াকে পাঠদান করছেন, বিস্ময় আর ভাললাগার স্পৃহা সৃষ্টি হলো এলাকাবাসির মাঝে। কেউ কেউ বললেন এমনই চাই, স্বপ্ন নয় বাস্তবই হলো জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিক্ষার্থীর খোজে, শিক্ষার্থীকে পাঠদানে গ্রামে। উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওবায়দুলাহিল আসলাম, প্রধান শিক্ষক রীনা রাণী ঘোষ, মেরিনা সুলতানা সহ এসএমসির সদস্যরা।