বিলাল হুসাইন নগরঘাটা থেকে ঃ এখন পাটের ভরা মৌসুম। তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের পশ্চিম বিল দক্ষিণ বিলসহ আশপাশ ইউনিয়নে পাট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। পাট কাটা, জাগ দেওয়া, ধুঁয়া ও শুকানোর আয়োজনে গ্রামগুলোতে পাটের গন্ধ অন্যরকম। তবে এবার এই পাটের দাম নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন কৃষকরা। উৎপাদন খরচ শ্রমিকের মুজরি সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাট জাগ দেওয়ার জায়গার অভাব। দূর দূরান্ত থেকে পাট বহন করে নিতে যুক্ত হচ্ছে বাড়তি খরচের হিসাব। হিসাব চুটিয়ে খুব একটা লাভের আশা দেখছেন না কৃষকেরা। এ বাপারে কথা হয় দক্ষিণ নগরঘাটা গ্রামের পাট চাষি মোঃ সিরাজুল ইসলামের সাথে তিনি দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান গত কয়েক বছর ধরে পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে পাট চাষ করেছে কৃষকেরা। তবে এবার সেই পাট কেনার আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। বাজার মূল্যে হতাশ তাই কৃষকেরাও ঘরে শুকনো পাট রেখে পাট চাষ করা নিয়ে রয়েছে বিপাকে। এছাড়া হাজরতলা গ্রামের পাট চাষী মোঃ কবিরুল ইসলাম জানান গত ২ বছর পাটের বাজার ছিল খুবই লাভজনক। সে সময় পাটের বাজার দর ছিল ২৮ শত টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এ বছরের প্রথম দিকে পাটের দাম ২২ শত টাকা করে পাওয়া গেছেও পরবর্তী সময় এসে সেই পাটের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ শত টাকা থেকে ১৭ শত টাকায়। তবে পাটের বেপারি মোঃ লুৎফর রহমান জানান বাহিরে পাটের চাহিদা কম থাকায় এর দাম কমেছে। তবে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সালেহ মোহাম্মদ আব্দুলাহ জানান বিদেশে যে পাট রপ্তানি হত বর্তমানে তার অর্ডার এখনোও পর্যন্ত আসে নাই। তবে সরকার চেষ্টা করছে কৃষকেরা যাহাতে তারা তাদের পাটের সর্বোচ্চ ন্যায্য মূল্য পায় সে জন্য খুব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।