তালা প্রতিনিধি ॥ নিজের জমি নেই তাতে কি থেমে থাকেনি সফলতা সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার নগর ঘাটা ভৈরব নগর এলাকায় বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করে ভাগ্য বদলে নিয়েছেন পাঞ্জাব বিশ্বাস। মৌসুমের ফল কুলের বাজার মূল্য বেশ। তার দেখানো পথে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হচ্ছেন।বয়সের ভারে ঘরে বসে না থেকে কিছু একটা করার আগ্রহ থেকে পাঞ্জাব বিশ্বাস করেন কুল চাষ।পাইকগাছা গদাইপুর থেকে দুইশ টি চরা সংগ্রহ করে নগরঘাটা মিঠাবাড়ি এলাকায় ২০১৪ সালে সামান্য জমিতে করেন কুল চাষ। দিনদিন পরিসর বেড়ে বর্তমানে তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছেন কুল। বছরে খরচ বাদে তার আয় হয় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। পান্জাব বিশ্বাস জানান- আমি এই বয়সে অন্য কিছু করতে পারবো না তাই কুল গাছ চাষ করেছি। দশ বছর ধরে এই কুল বরুই চাষ করেছি যা একবার লাগালে প্রতিবছর এককালীন অর্থ পাওয়া যায়। বরুই গাছের বয়স যতো বৃদ্ধি হচ্ছে ততই ফলন বেশি পাচ্ছি। আমার বাগানে নারিকেল বরুই , থাই কুল, বল সুন্দরী কুল ও টক কুল রয়েছে। বাহারি নামের মতো বাহারি রঙ্গের নানান জাতের কুলও মেলে রাস্তার ধারে ও বাজারে।সবুজ লাল আর হলুদ রঙ্গের ফল টি পুষ্টি গুনে ভরপুর। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে।তাই এবছর কুল চাষে আমার দুুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা লাভবান হওয়ার সম্ভবনা আছে। তালা উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব হাজিরা খাতুন বলেন – তিনি নিয়মিত পান্জাবকে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বৃদ্ধ বয়সে স্বামী স্ত্রী বরই চাষে যেভাবে সফলতা পেয়েছেন, সেটা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি আশাবাদী পান্জাব দম্পতি এ সফলতা দেখে অন্যান্য বেকার শিক্ষার্থীসহ তরুণ উদ্যোক্তারা বরই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।আর এবছর তালা উপজেলায় একশত ষাট হেক্টর জমিতে কুল বরুই চাষ হয়েছে।