এফএনএস স্পোর্টস: আপাতত জিমে কাজ করা ও সুনির্দিষ্ট কিছু রুটিন মানতে হচ্ছে। নেটে ব্যাটিংয়ে ফিরতেও সময় লাগবে আরও বেশ কিছুটা। সামনের পথ তাই অনেকটাই ধূসর। তবে বিশ্বকাপ খেলার চেষ্টায় এখনই হাল ছাড়ছেন না কেন উইলিয়ামসন। আপাতত প্রতি সপ্তাহে একটু একটু উন্নতি করে তিনি এগিয়ে যেতে চান আরেকটি বিশ্বকাপে খেলার পথে। গত ৩১ মার্চ আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের প্রথম ম্যাচেই গুরুতর চোটে পড়েন উইলিয়ামসন। ফিল্ডিংয়ের সময় সীমানায় ছক্কা বাঁচাতে গিয়ে বাজেভাবে পড়ে গিয়ে তিনি চোট পান হাঁটুতে। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়ে তাকে দেশে ফিরতে হয় ক্রাচে ভর দিয়ে। বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে নিশ্চিত হয়, তার এন্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ছিঁড়ে গেছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে অস্ত্রোপচার করাতে হয় তার হাঁটুতে। এই ধরনের অস্ত্রোপচারের পর সেরে উঠতে সাধারণত ৬ মাসের মতো সময় লাগে। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারত বিশ্বকাপে তার খেলা নিয়ে তাই শঙ্কা প্রবল। তবে উইলিয়ামসন এখনও আশা নেই সামনে তাকাচ্ছেন। এখনই অবশ্যই দূর ভবিষ্যতে না তাকিয়ে অল্প অল্প করে এগোতে চান বলে তিনি জানালেন নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের ছোট্ট ভিডিও বার্তায়। “আপাতত সপ্তাহ থেকে সপ্তাহ হিসেবে এগোনোর চেষ্টা করছি। চোটে এতটা দীর্ঘ সময়ের জন্য আগে কখনও বাইরে থাকতে হয়নি আমার। তবে যাদের এরকম অভিজ্ঞতা আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলছি। এই পথচলা অনেক দীর্ঘ, তাই এখনই খুব বেশি দূরে তাকালে তা কিছুটা যন্ত্রণাময় হতে পারে।” “এর চেয়ে বরং প্রতি সপ্তাহে ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করে এগিয়ে চলা, ছোট ছোট জয়গুলোর অভিজ্ঞতা দারুণ। পাশাপাশি এটাও ভাবনায় রাখতে হবে, এই ভ্রমণ পুরোপুরি মসৃণ হবে না এবং এই পথে কিছু বাধাও আসবে, যা সামলাতে হবে।” মাঠে ফেরার লড়াই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে বলেই জানালেন উইলিয়ামসন। মূলত একঘেয়েমি কাটাতেই এখন টুকটাক কিছু কাজ করছেন ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। “মূলত মানসিক প্রশান্তি আর কিছুটা বদলের জন্য টুকটাক কাজ চলছে এখনৃ জিমে কিছুটা কাজ করা, ফিজিওর সঙ্গে কাজ করা, পুনর্বাসনের সুনির্দিষ্ট কিছু কাজ এবং ট্রেনিংয়ে অন্যান্যের সঙ্গে সময় কাটানো, এসব চলছে। সত্যিকারের ট্রেনিং এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে।” “নেটে ফিরতে এখনও বেশ কিছুটা সময় আছে। তবে খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি অবশ্যই।” গত দুটি বিশ্বকাপেই উইলিয়ামসন ছিলেন দারুণ সফল। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের ফাইনাল খেলার পথে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল তার। গত বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই ফাইনাল খেলে মূল ম্যাচ ও সুপার ওভার টাই হওয়ার পর বাউন্ডারির সংখ্যায় হেরে যায় কিউইরা। ফাইনাল হারলেও টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি পান তিনি। নেতৃত্বের উজ্জ্বল রেকর্ডের পাশাপাশি তার নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্সও দারুণ এই সংস্করণে। তাকে ছাড়া খেলতে হলে নিউ জিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্বপ্নে বড় ধাক্কা লাগবে নিশ্চিতভাবেই। বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত উইলিয়ামসন খেলতে না পারলে তাকে ‘মেন্টর’ হিসেবে দলে রাখা হতে পারে বলে কিছুদিন আগে জানান কোচ গ্যারি স্টেড।