ষ্টাফ রিপোর্টার \ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছন। বেতন কাঠামো, পদোন্নতির জটিলতা এবং পেশাগত উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অসন্তোষ এর কারণে প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ ঘোষিত ৫ মে থেকে ১৫ মে এক ঘন্টার কর্মবিরতি সাতক্ষীরা জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে বলে জানা গেছে। একাধিকবার সরকারের কাছে দাবি জানানো হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় প্রাথমিক শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের এই পথ বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ এর ছয়টি সহকারী শিক্ষক সংগঠনের সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দ। ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবি ৪ মের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায়, তারা ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন শুরু করেছে। এর পরও দাবি না মানা হলে ১৬ থেকে ২০ মে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। চূড়ান্তভাবে, ২৬ মে থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাবেন তাঁরা। সংগঠনটির দাবি, প্রথমত তারা কনসালটেশন কমিটির প্রস্তাবিত ১২তম গ্রেড সংস্কার করে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন, যেখানে সহকারী শিক্ষক পদকে ‘অ্যান্ট্রি’ পদ হিসেবে বিবেচনার দাবি তোলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ১০ বছর এবং ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে যে জটিলতা রয়েছে, তা দূর করার দাবি জানানো হয়েছে। তৃতীয়ত, প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা ও দ্রæত পদোন্নতির দাবি জানানো হয়েছে।