এফএনএস বিদেশ : তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৯৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ৬ দশমিক ৮ মাত্রার কম্পনে আরও ১৩০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া জানিয়েছে, তিব্বতের দিকে অন্তত ৯৫ জন নিহত ও ১৩০ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে ৫৩ জনের প্রাণহানির খবর জানিয়েছিল তারা। চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। এভারেস্টের উত্তরাঞ্চলীয় প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত চীনা গ্রাম তিংগ্রিতে ভূমির ১০ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি। মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভিস এই ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করেছে ৭ দশমিক ১। ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত হওয়ায় চীন, নেপাল ও ভারতের উত্তরাঞ্চল প্রায়শই মারাত্মক ভূমিকম্পের শিকার হয়। ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে নেপালের নয় সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারান। আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে। ভয়াবহ সেই দুর্যোগে এভারেস্ট বেজক্যাম্পে থাকা অন্তত ১৮ জন পর্বতারোহী ভূমিধসে মারা যান। গতকাল মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এভারেস্টের ৮০ কিলোমিটার উত্তরে ছিল। নেপালের জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিব্বত সীমান্তবর্তী সাতটি পাহাড়ি জেলায় কম্পন টের পাওয়া গেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র দিজান ভাত্তারাই রয়টার্সকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি যাচাই ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মোতায়েন করা হয়েছে। ভূমিকম্পের রেশ টের পাওয়া গেছে ভূটানের রাজধানী থিম্পু ও ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বিহারে। এখন পর্যন্ত বিহারে কোনও প্রাণহানি বা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ভারত ও ভুটানের কর্মকর্তারা।