এফএনএস: মাঝ চৈত্রে তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ কমা-বাড়ার ফলে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে সুস্বাদু বৈরালিসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। রুপালি এ মাছের ঝিলিকে হাসছেন তিস্তাপারের জেলেরা। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকায় গতকাল শুক্রবার এমন চিত্র দেখা গেলো। সকালে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে দেখা যায়, নদীতে নতুন পানি আসায় মাছ ধরার ধুম পড়েছে। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও গ্রামবাসীরা। দেখে মনে হচ্ছে যেন উৎসব লেগেছে। মাছও পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর। মাছ কিনছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। জেলেরা জানান, তিস্তায় বৈরালি ছাড়াও ধরা পড়ছে বোয়াল, বাঘাইড়, আইড়, কালবাউশসহ নানা প্রজাতির মাছ। আর এসব মাছ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। নদীর পাড় থেকে ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা সরাসরি এসব মাছ সংগ্রহ করছেন। প্রতি কেজি বৈরালি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। চৈত্রের শুরুতে তিস্তা নদী শুকিয়ে ছিল। এখন উজান থেকে পানি নেমে আসায় প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তিস্তাপাড়ের জেলে কদম আলী জানান, নদীতে একটু পানি বেশি হওয়ায় জালে ভালো মাছ উঠছে। এর আগে চৈত্রের শুরুতে নদীতে পানি না থাকায় জেলেরা অনেক কষ্টের দিন পার করেছেন। তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে প্রায় পাঁচ হাজার কিউসেকের মতো পানি প্রবাহ চলছে। ব্যারেজের তিনটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, বর্তমানে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পাঁচ হাজার কিউসেক পানি রয়েছে। এর মধ্যে ১১০০ কিউসেক পানি সেচ কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এর আগে তিস্তায় সামান্য পরিমাণে পানি বাড়লেও বর্তমানে কমে গেছে। তিনি আরও বলেন, নতুন পানিতে তিস্তা নদীতে মাছের সংখ্যা বেড়েছে। তাই এখন জেলেরা ভালো মাছ পাচ্ছেন। তিস্তাপাড়ের কিছু অসহায় জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।