এফএনএস: দুইদিন বন্ধ থাকার পর আবার গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে এসেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্র“ সীমান্তে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে দু’দিন ফায়ারিং বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে, তবে সীমান্তের আকাশে গত দু’দিন কোনো হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়নি। চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ আরও জানান, গেল এক মাস ধরে সীমান্ত এলাকায় গুলি আর মর্টারশেলের শব্দে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তবে গত দু’দিন গোলাগুলি বন্ধ থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় আবার গোলাবর্ষণের আওয়াজ শোনা গেছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নুর মোহাম্মদ জানান, গত ৩ আগস্ট সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছিলেন তারা, ওইদিন বাইশপারি সীমান্তে দু’টি মর্টারশেলও পড়েছিল। কিন্তু এরপর দু’দিন বন্ধ থাকার ফলে সীমান্তে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছিল। এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফৌরদৌস জানান, সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্র“ এলাকায় মিয়ামারের দু’টি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল এসে পড়লে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত মর্টারশেল দু’টি উদ্ধার করে।