এফএনএস বিদেশ : ইসরায়েলের তেল আবিবে বারে ঢুকে তিন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার তেল আবিবের ওই সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর সঙ্গে গতকাল শনিবার জেনিন এলাকার একটি শরণার্থী শিবিরের কাছে বন্দুকযুদ্ধ হয় নিরাপত্তা বাহিনীর। সে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান ২৮ বছর বয়সী সেই ব্যক্তি। এ রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাদ হাজেম’ নামে ওই বন্দুকধারী নিহত হওয়ার পরও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জেনিন ক্যাম্পে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। অভিযানে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর দিচ্ছে প্যালেস্টাইনের সংবাদমাধ্যম। ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী শিন বেত বলছে, ওই ব্যক্তি বিনা অনুমতিতে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছিলেন। তবে তবে তার হামলার উদ্দেশ্যে এখনও জানা যায়নি। ওই হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত তার নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, সন্ত্রাস নির্মূল অভিযানে তোমাদের আর কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। সেনাবাহিনী ও শেন বেতকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হল। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও তেল আবিব হামলার নিন্দা করেছেন। মুসলমানের পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের ডানপন্থী আইন প্রণেতা ইতামার বেন-গভির আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ সফর করেছিলেন, যা ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত। ফিলিস্তিনিরা এ ঘটনাকে ‘উস্কানি’ হিসেবে দেখছিল। মাহবুব আব্বাস ওই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে অনুপ্রবেশে বিপদ এবং চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীর উস্কানিমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে আগেই সতর্ক করেছিলাম।’ এদিকে নিহত বন্দুকধারী ব্যক্তিকে ‘শহীদ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দখলদারদের বিরুদ্ধে এই লড়াই ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার। জেরুজালেমের মতো পবিত্র স্থানে ইহুদিবাদীদের বারবার আক্রমণের প্রতিক্রিয়াতেই এই হামলা হয়েছে।’ গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েলে আরব ও ফিলিস্তিনিদের একের পর এক হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। জানুয়ারি থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে।