কালিগঞ্জ থেকে শেখ শরিফুল ইসলামঃ বাংলাদেশের অর্থনিতিখাতে প্রতি বছর এক বড় অবদান রেখে চলেছে দক্ষিণ অঞ্চালে মা মাটি মানুষের সাথে মিশে থাকা সাদা সোনা নামে পরিচিত চিংড়ী শিল্প। এ অঞ্চলের হাজার হাজার চাষিরা এ শিল্পের উপর ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তাদের আয়ের জন্য একমাত্র সম্বল চিংড়ী শিল্প। যখনই এ শিল্পের উপর দেশি,বিদেশি ষড়যন্ত্রের নোংড়া ছোবল পড়ে তখনই প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব পড়ে এ শিল্পের সাথে মিশে থাকা চাষি ও বিনিয়োগকারিদের উপর। একে এ বছর চিংড়ী শিল্পের প্রতিকূল পরিবেশ তার উপর একের পর এক প্রাকৃতিক দূর্যোগের নির্মম ছোবল। এযেন মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁ। প্রশাসনের কড়া নজর দারী ও মৎস্য অফিসার দের তদারকিরকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে অসাধু পুশ প্রয়োগকারী,বেশী মুনাফাখোর ব্যাবসায়ীদের মারমুখো অপ্রতিরোদ্ধ প্রতিযোগীতার রোষানলে দিন দিন নিঃশেষের পথে রথযাত্রী। দক্ষিণাঞ্চালের মানুষের নিকট প্রতিনিয়ত দঃবঙ্গপসাগর থেকে উঠে আসা প্রকৃতির অশুভ শক্তির ছোবলের প্রতিয়মান মৃত্যুর আত্মনাথ যার সর্বশেষ উপস্থিতি প্রলয়ংকারী সীত্রাং। এটি কাটিয়ে উটতে না উটতেই রাত্র পোহালে চিংড়ির শিল্পের দরপতন। চাষিরা ঘের থেকে বিক্রি করছিল ১২শত টাকা কেজি সেই চিংড়ির দাম এখন চাষি পর্যায় পাচ্ছে ৬শত টাকা। হঠাৎ এর দরপতনের জন্য দায়ী কে এ প্রশ্নের উত্তরে শেষ পর্যন্ত আঙ্গুল উঠবে পুশ প্রয়োগকারী চক্রের দিকে ।গতকাল কালিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা মৎস সেটের মৎস্য ব্যাবসায়ী ও জেলা পরিষদের সদস্য শেখ ফিরোজ কবীর কাজল দৈনিক দৃষ্টিপাত কে জানায় হঠাৎ চিংড়ি মাছের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। গতকাল যে মাছ বিক্রী হয়েছিল ১২০০টাকা কেজি সে মাছ আজ ৬০০টাকা কেজি। এভাবে চলতে থাকলে চাষিরা কোথায় যাবে। শিল্পের সাথে মিশে থাকা হাজার চাষিদের বুকের চাপা কান্না ও লোকসানের হাত থেকে চাষি তথা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা শিল্পকে টিকিয়ে রেখে রাখার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উদ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি রেখেছেন এ শিল্পের সাথে মিশে থাকা ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল।