রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করছে যুক্তরাষ্ট্র

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

এফএনএস বিদেশ : ওয়াশিংটনে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তাকে ‘আমাদের মহান দেশে আর স্বাগত জানানো হবে না’। খবর বিবিসির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রুবিও রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রসুলকে আমেরিকা ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশের অভিযোগ করেছেন। রুবিও তাকে (রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রসুল) ‘বর্ণবাদী রাজনীতিবিদ’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা করার কিছু নেই।’ এই বিরল পদক্ষেপটি দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সর্বশেষ ঘটনা। শুক্রবার রুবিও তার পোস্টে ডানপন্থি সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্টের একটি নিবন্ধের লিঙ্ক দিয়েছেন, যেখানে একটি অনলাইন বক্তৃতায় ট্রাম্প প্রশাসন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত রসুলের করা কিছু সা¤প্রতিক মন্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে রসুল বলেন, ‘দেশে ও বিদেশে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে আধিপত্যবাদকে সংগঠিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্প যা শুরু করছেন, তা হলো ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের ওপর আক্রমণ।’ এর জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও রসুলকে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করেন। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় সহায়তা স্থগিতের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। আদেশে দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘জঘন্য কর্মকাণ্ড’ হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের (যারা ডাচ বসতি স্থাপনকারীদের বংশধর) বিরুদ্ধে ‘অন্যায়ভাবে জাতিগত বৈষম্য’ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। আদেশটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি নতুন আইন এক্সপ্রোপিয়েশন অ্যাক্টের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। আদেশে দাবি করা হয়, সরকারকে ব্যক্তিগত জমি কেড়ে নেওয়ার অনুমতি দিয়ে এই আইনে শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের টার্গেট করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বমঞ্চে খারাপ ব্যক্তিদের সমর্থন করবে এবং নিরীহ সুবিধাবঞ্চিত সংখ্যালঘু কৃষকদের ওপর সহিংস আক্রমণের অনুমতি দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে সাহায্য—সহায়তা বন্ধ রাখবে।’বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার তাদের আইনটির সঙ্গে জাতিগত বিষয়ের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করছে। রাষ্ট্রদূত রসুল এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০২৫ সালে তিনি আবারও এই পদে নিযুক্ত হন। ইব্রাহিম রসুল কেপটাউনে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। যখন তার বয়স ৯, তখন তাকে এবং তার পরিবারকে জোর করে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়, যা শুধু শ্বেতাঙ্গদের জন্য নির্ধারিত ছিল। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজনীতিতে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি জানান, তার ওই উচ্ছেদের ঘটনা তার বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, যা তার ভবিষ্যৎকে নির্দেশিত করেছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com