এফএনএস এক্সক্লুসিভ: দাতা সংস্থা বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে বর্তমান সরকার রাজধানীতে বিপুলসংখ্যক বিদ্যুৎচালিত বাস বা ই—বাস নামানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। মূলত ঢাকা মহানগরে পরিবহন খাত থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানো ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনাই প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য। কোম্পানিভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলে ওই বাসগুলো পরিচালনা করা হবে। আর বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্ট—এর মাধ্যমে বাস সংগ্রহ, আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় পরিবহন খাতে কাজ করার জন্য বিশ^ব্যাংক ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃর্পক্ষ (বিআরটিএ) ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কতৃর্পক্ষের (ডিটিসিএ) অনুকূলে ঋণ দেবে। ডিটিসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দাতা সহায়তায় ৫০০টি ই—বাস প্রকল্পের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। আর সেগুলোর ব্যাটারি সক্ষমতা ২৭৫—৩০০ কিলোওয়াটের মধ্যে থাকবে। একই প্রকল্পের মাধ্যমে চালক ও পরিবহন রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০৩০ পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে। বাস সংগ্রহ, ডিপো নির্মাণ, আইটিএস ও বাস পরিষেবা পুনর্গঠনের কাজে ১১০—১৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। আর বিআরটিএর জন্য ভেহিকল ইন্সপেকশন সেন্টার স্থাপনে ৪০—৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। সূত্র জানায়, ই—বাস প্রকল্পটির মাধ্যমে রাজধানীতে বাস পরিষেবা আধুনিকায়নের একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। ওই কর্মসূচির আওতায় ইলেকট্রনিক ভাড়া আদায় ব্যবস্থা, যাত্রী তথ্য ব্যবস্থাপনা, ওয়েবসাইট ও অ্যাপ নির্মাণ, ডাটা সেন্টার, অপারেশনস কন্ট্রোল সেন্টার গড়ে তোলার কাজ করা হবে। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ ও বায়ুমান উন্নয়ন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন, সবার জন্য প্রবেশগম্য গণপরিবহন সমপ্রসারণ, যানজট প্রশমন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করবে। সূত্র আরো জানায়, ই—বাস প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সিটি বাস সার্ভিস ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন পরিকল্পনা, ইলেকট্রিক বাস ক্রয় (বিভিন্ন মোডালিটি ও অন্যান্য অর্থায়নের ওপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য ২৫০—৫০০টি), পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, নতুন বাস ডিপো স্থাপন ও বিদ্যমান ডিপোর অবকাঠামো উন্নয়ন (সম্ভাব্য ১০টি), বাস স্টপেজ নির্মাণ ও উন্নয়ন, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) স্থাপন এবং কারিগরি সহায়তা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নীতিমালা প্রণয়ন। এদিকে এ প্রসঙ্গে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার জানান, ‘প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।