এফএনএস বিদেশ : গ্রীষ্মের অর্ধেক যেতে না যেতেই এ বছর দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি নতুন রেকর্ড করেছে ইউরোপে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিবেদন বলছে, এ বছর দাবানলের ক্ষতি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এমন পরিস্থিতি অঞ্চলটির ভবিষ্যতের জন্য গভীর উদ্বেগের বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গবেষকরা। জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে পুরো জুলাই থেমে থেমে পুড়েছে ইউরোপের ১২টি দেশের কোনো না কোনো অঞ্চল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় পর্তুগাল, স্পেন, ফ্রান্স ও ইতালির নাম। এখনো দাবানলের ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও এরইমধ্যে পুড়ে যাওয়া ক্ষয়ক্ষতি করেছে নতুন রেকর্ড। ইউরোপীয় ইউনিয়নস জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, দেড় মাসে পুড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশের ৬ লাখ হেক্টরের বেশি অঞ্চল, যা ক্ষয়ক্ষতির দিক দিয়ে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অগুনের ঝুঁকির সময়কাল ধরা হলেও এ বছর অর্ধেক সময়েই এমন বিপুল ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়েছে সংস্থাটি। পুড়েছে বনাঞ্চল, ফসলি জমি, বসতঘরসহ নানা স্থাপনা। প্রাণ গেছে বহু মানুষ ও অসংখ্য পশুপাখির। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে সৃষ্ট দাবানলে ভস্মীভ‚ত হয়েছে ইউরোপের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন দেশ। লাখের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।দাবানলের পরিস্থিতির এমন ভয়াবহতার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগুন লাগা, তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়াসহ নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ হিসেবে আবহাওয়ার শুষ্কতা ও আর্দ্রতাকেই মূল কারণ বলছেন তারা, যা ইউরোপের ভবিষ্যতের জন্য বড় ঝুঁকি। দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্নিনির্বাপক বিমানের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অঞ্চলটির কার্বন নিঃসরণের মাত্রা আরও কমিয়ে আনার ওপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। সবশেষ ২০১৭ সালের দাবানলে পুড়েছিল ইউরোপের প্রায় ১০ লাখ হেক্টর এলাকা।