শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নূরনগরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী প্রতিযোগিতা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান শ্যামনগরে পানি সংরক্ষনের জন্য ড্রাম বিতরণ শ্যামনগরে সুপেয় পানির আরও প্লান্ট উদ্বোধন করলেন ইউএনও রনী খাতুন জলাভূমির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে দেওয়া যাবে না কর্মশালায় অতিরিক্ত সচিব মোঃ আক্তারুজ্জামান শিবপুর ও কুশখালীর জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শনে সদর ইউএনও আশাশুনিতে তথ্য অধিকার বুথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত আশাশুনিতে শাক—সবজী বীজ বিতরণ ও চাষী প্রশিক্ষন কয়রায় শিশুদের আনন্দদানে ও মেধা বিকাশে শিশু মেলা নতুন নির্বাচনী সামগ্রীতে এয়োদশ সংসদ নির্বাচন ## প্রয়োজনের অতিরিক্ত মালামাল কেনায় নিরুৎসাহিত এবং ব্যয় সংকোচনের পরামর্শ কমিশনের ## তিন লাখ ভোট কক্ষের জন্য ৭০ ধরণের সামগ্রী, সময় লাগবে ৬—৭ মাস ## দ্বাদশ সংসদের বেশির ভাগ মালামাল ব্যবহারে অনুপযোগী জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আর্থিক অনুদান প্রদান আজ

দুই মাস বন্ধের পর সুন্দরবনে আবারো কাকড়া আহরণ শুরু

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪

মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি ॥ সুন্দরবনের কাকড়া আহরণ শুরু হলেও জোয়ারের একাদশী দ্বাদশী গোন ন আসায় আহরণের নৌকা ও মালামাল সংগ্রহের দেরি ও প্রস্তুতি নিতে দেরি হয়। বৃহস্পতিবার সকালের জোয়ারে বোনের গহীনে প্রবেশ করতে শুরু করেছে শ্যামনগর উপকূলের অঞ্চলের জেলেরা। সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী সুন্দরবনে ৬ হাজার সতেরো বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশের অংশে জন ভাগে পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গ কিলোমিটা। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনে ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। জলভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদনদী ও খাল আছে। এইসব খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়াও ১৪ প্রজাতি কাঁকড়া রয়েছে। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি দুই মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমী হওয়ায় ৫১দিনের জন্য জেলেদের সুন্দর বনের প্রবেশ করে কাকড়া ধরা অনুমতি বন্ধ রাখে বন বিভাগ। সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোসাইন জানান সুন্দরবনের মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ত্রিশটি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ থাকে। বাকি অংশে নদী ও খালে বন বিভাগের বৈধ পাশ পারমিট ধারী প্রায় ১৫ হাজার জেলে শুধু কাঁকড়া আহরণ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। ১৯৯৮ সালে কাঁকড়া রপ্তানি নীতিমালা প্রণয়নের পর থেকে প্রতি বছর দুই মাস কাঁকড়া ধরার পাস পারমিট বন্ধ রাখা হয়। কাকড়া আহরণকারী সিংহরতলী গ্রামে মন্টু জোয়ার দার জানায় আর্থিকভাবে সচ্ছল কোন লোক সুন্দরবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যায় না। যারা যান তারা প্রায় দরিদ্র। দুই মাস নিষেধাজ্ঞার চলাকালে দরিদ্র জেলেদের চরম দুর্দিন গেছে। বন্ধের দিনগুলোতে সরকারি কোন ভাতার ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে তাদের। গত শুক্রবার কাকড়া ধরার অনুমতি পেয়ে তারা আসার আলো দেখছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com