মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি ॥ সুন্দরবনের কাকড়া আহরণ শুরু হলেও জোয়ারের একাদশী দ্বাদশী গোন ন আসায় আহরণের নৌকা ও মালামাল সংগ্রহের দেরি ও প্রস্তুতি নিতে দেরি হয়। বৃহস্পতিবার সকালের জোয়ারে বোনের গহীনে প্রবেশ করতে শুরু করেছে শ্যামনগর উপকূলের অঞ্চলের জেলেরা। সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী সুন্দরবনে ৬ হাজার সতেরো বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশের অংশে জন ভাগে পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গ কিলোমিটা। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনে ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। জলভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদনদী ও খাল আছে। এইসব খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়াও ১৪ প্রজাতি কাঁকড়া রয়েছে। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি দুই মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমী হওয়ায় ৫১দিনের জন্য জেলেদের সুন্দর বনের প্রবেশ করে কাকড়া ধরা অনুমতি বন্ধ রাখে বন বিভাগ। সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোসাইন জানান সুন্দরবনের মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ত্রিশটি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ থাকে। বাকি অংশে নদী ও খালে বন বিভাগের বৈধ পাশ পারমিট ধারী প্রায় ১৫ হাজার জেলে শুধু কাঁকড়া আহরণ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। ১৯৯৮ সালে কাঁকড়া রপ্তানি নীতিমালা প্রণয়নের পর থেকে প্রতি বছর দুই মাস কাঁকড়া ধরার পাস পারমিট বন্ধ রাখা হয়। কাকড়া আহরণকারী সিংহরতলী গ্রামে মন্টু জোয়ার দার জানায় আর্থিকভাবে সচ্ছল কোন লোক সুন্দরবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যায় না। যারা যান তারা প্রায় দরিদ্র। দুই মাস নিষেধাজ্ঞার চলাকালে দরিদ্র জেলেদের চরম দুর্দিন গেছে। বন্ধের দিনগুলোতে সরকারি কোন ভাতার ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে তাদের। গত শুক্রবার কাকড়া ধরার অনুমতি পেয়ে তারা আসার আলো দেখছে।