এফএনএস বিদেশ : মিয়ানমারের কারাবন্দি নেত্রী অং সান সুচিকে দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। গতকাল বুধবার সকালে সেনাশাসিত মিয়ানমারের রাজধানীর নেইপিদোর একটি আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন। খবর রয়টার্সের। ছিয়াত্তর বছর বয়স অং সান সুচির বিরুদ্ধে অভিযোগÑতিনি একজন রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে ঘুস হিসেবে স্বর্ণ ও হাজার হাজার মার্কিন ডলার নিয়েছিলেন। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সুচি। এদিকে, আজ রায় ঘোষণার পর সুচির সমর্থক ও আইনজীবীরা আআদলতের রায়কে অন্যায্য বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। নেইপিদোতে সুচির বিচারে জনসাধারণকে যেতে দেওয়া হয়নি এবং আইনজীবীদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে অন্য কয়েকটি মামলায় সুচিকে ছয় বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সু চি’র বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন, জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা উসকে দেওয়া, তাঁর দাতব্য ফাউন্ডেশনের জন্য জমির অপব্যবহার এবং নগদ ছয় লাখ ডলার এবং ১১ কেজি স্বর্ণের অবৈধ অর্থ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে। সু চি এরইমধ্যে ২০২১ সালের ১ ফেব্র“য়ারি তাঁকে এবং তাঁর বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুতকারী সামরিক জান্তার আনা আরও অনেক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সুচি’র সম্ভাব্য ১০০ বছরের জেল হতে পারে। সু চি’র দল লিগ ফর ডেমোক্রেসি ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সেনাসমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির বিপক্ষে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ব্যাপক নির্বাচনি জালিয়াতিকে সামরিক জান্তা বেসামরিক সরকারের পতন এবং ফলাফল বাতিল করার কারণ বলে দাবি করেছে। বেসামরিক নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়ার আগে তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নেতৃত্বদানকারী সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।