বাংলাদেশ বরাবরই দূর্যোগ প্রবন এলাকা হিসেবে বিবেচিত ও চিহিৃত। আন্তর্জাতিক বিশ্বে আমাদের দেশ বারবার যে দূর্যোগ এবং দুর্বিপাকে তথা প্রকৃতির নিষ্ঠুরতার তান্ডবে ক্ষত বিক্ষত হয় তা জানা, আবার বিশ্ব ব্যবস্থা তথা বিশ্বের দেশে দেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রচলিত যে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশ সব ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় পরীক্ষিত এবং সফল। বাংলাদেশ এক সময় প্রকৃতির তান্ডব এ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিশেষ করে সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ে সেই সময়ে ভয়াবহ ঘূণিঝড় এবং জ্বলোচ্ছ্বাসের কারনে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এলাকা মৃত্যু পুরীতে পরিনত হয়। লাখ লাখ মানব সন্তান প্রাণ হারায়, ছেষট্টি সালে ও একবাপর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। পরবর্তিতে একানব্বুই সালেও এদেশের উপকুলীয় এলাকায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিূঝড় ও জ্বলোচ্ছ্বাস। উল্লেখিত ঘূর্ণিঝড় এবং বর্তমানের ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছ্বাস গুলো শক্তি আর সক্ষমতার দিক দিয়ে অভিন্ন হলেও অতীতে ক্ষয়ক্ষতি বেশী হয়েছে। মানব সন্তানের প্রাণহানির ঘটনাও হয়েছে সর্বাধিক তার অন্যতম কারন চল্লিশ পঞ্চাশ বছর পূর্বে মানুষের সচেতনতা আর বর্তমান সময়ের সচেতনতা ভিন্নতা বিদ্যমান। পাশাপাশি অতীতে আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তি জনসাধারন আমলে নিতো না। অতীতে কর্তৃপক্ষের সক্ষমতাও কম ছিল কিন্তু বর্তমান সময়ে সরকারি ভাবে দূর্যোগ মোকাবিলা করার সর্বাত্মক ব্যবস্থা বিদ্যমান, প্রতিমুহুর্তে সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ দূর্যোগ মোকাবিলায় তৎপর। গতকাল শেষ হওয়া এবং কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখার তান্ডব ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী কিন্তু সতর্কতা ও প্রস্তুতির কারনে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কম। আমাদের জ্বলোচ্ছ্বাস হতে পরিত্রান। পেতে সর্বত্রভাবে উপকুলীয় এলাকার ভেড়ি বাধ নির্মান, পুনঃ নির্মান এবং উচু ও মজবুত করতে হবে। কারন ঝড় নয় ব্যাপক ক্ষতি ও ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনার জন্য সর্বত্র ভাবে জলোচ্ছ্বাসই দায়ী।