পাঁচ বছরের শিশু আলিফ ফরহাদ কে নৃশংশভাবে নির্যাতন করার অপরাধে আসামী রানী বেগম (২২) কে গতকাডল দুপুরে তার নিজ বাড়ি দেবহাটা থানাধীন চরবালিথা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পাঁচ বছরের শিশু আলিফ ফরহাদ তার মামা আশরাফুল (২৩) দেবহাটা থানায় চরবালিথা বাড়িতে থাকতেন। থানা-দেবহাটা তার মা না থাকায় সে মামার বাড়িতে থাকে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার মামী আসামী রানী বেগম (২২) (যাকে শিশুটি মা বলে ডাকে) শিশু আলিফ কে বসত ঘরের ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই চোখ খুচিয়ে-খুচিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে এবং তার চোখের আশে পাশে, মুখমন্ডলে, নাকে, মুখে ঠোটে রক্তাক্ত জখম করে। তাছাড়া আসামী রানী বেগম শিশুটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুত্বর জখম করে। শিশু আলিফ মৃত্যুবরণ করেছে মনে করে আসামী রানী বেগম তাকে বাড়ির পাশে পুকুরের (পানি বিহিন পুকুর) মধ্যে ফেলে রেখে যায়। দুপুরে শিশু আলিফের ছোট মামা আশিক (১৪) বাড়িতে এসে তাকে খোজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে শিশু আলিফ কে বাড়ির পাশে পুকুরের মধ্যে হতে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করে। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় এবং সেখানে তাকে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। শিশুটি তখন উপস্থিত চিকিৎসক, সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজনদের সামনে তার মামী রানী বেগম তাকে এরুপ ভাবে নির্যাতন করেছে বলে জানায়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম বা) এরকম শিশু নির্যাতনের স্পর্শকাতর ঘটনায় জড়িত আসামীকে তাৎক্ষনিক ভাবে গ্রেফতার করার জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করলে বেলা ২টায় সাতক্ষীরা থানা পুলিশ ও দেবহাটা থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসামী রানী বেগম (২২) সে দেবহাটা চর বালিথা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগন জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি