দেবহাটা অফিস \ বাংলায় অতি পরিচিত শব্দ ঘুঘু চড়ানো, ভিটায় ঘুঘু চড়ানো। ঘুঘু চড়ানো চিরায়ত প্রবাদ বচন ও বটে। বিশেষ সৌন্দর্য্যরে প্রতিক, অতি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যধারী পাখি ঘুঘু কিন্তু ঘুঘু পাখিকে নিয়ে অনাকাঙ্খিত কথকথা বাঙ্গালীর গাল মন্দে পরিনত হয়েছে। বাংলা অভিধান আর বাকধারায় ঘুঘু চড়ানোর অর্থ হিসেবে বলা হয়েছে সর্বনাশ করা চরম ভাবে সর্বশান্ত করা। এক কথায় ক্ষতিকরা, অত্যাচার, অশান্তী নিপিড়ন, চালানো, বর্তমান সময়ের দেবহাটার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রবেশ সেই ঘুঘু পাখি সর্বনাশ, সর্বশান্ত আর অশান্তীর পরিবর্তে শান্তী, সুশাসন, সেবা, দক্ষতা, সততা, নিয়মানুবর্তিতার প্রতিমুখ হিসেবে অবস্থান নিয়েছে। অতি আদরে, সেবায়, পরিচর্যায় ঘুঘু পাখিকে আগলে রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। পাখির প্রতি ভালবাসা, পাখি বান্ধব আর পরিচর্যার সম্মিলন, দেখভাল ঘুঘু পাখিটি যেন নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কর্মযজ্ঞের প্রাণ শক্তিতে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আসছে যাচ্ছে, কোলাহল, পদচারনা ঘুঘু পাখি সামান্যতম ভীত হয় না, যেন নিবেদিত, সেবা প্রদানকারী প্রশাসন পরিবারের অতি দক্ষ কর্মকর্তার কর্মযজ্ঞ অবলোকন করে চলেছে। ইট, পাথর কনক্রিটের স্থাপনায় নির্বাহী অফিসার গাছ গাছালীর শেখড়, বাকড়, পাতা, বিচুলীর মাধ্যমে ঘুঘু পাখিকে বসবাসের উপযুক্ত বাসা তৈরী করেছে। পরম সুখে, নির্ভাবনায়, বসবাস করছে। নিয়ম মাফিক খানাপিনা বরাদ্ধ ঘুঘু পাখির জন্য। কেবল পাখিটি শান্তী আর সেবার প্রতিক হিসেবে নয়, নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়টি প্রকৃতির অপরুপ বন্ধুর দিক চিহেৃ পরিনত হয়েছে। পাখির অভয়ারান্য এবং সৌন্দর্য্যরে ডালামেলা ঘুঘু পাখি দেখার লোভ সামলাতে পারে না অনেকে আর তাই নির্বাহী অফিসারের অফিসে প্রবেশ এবং ত্যাগ করে অনেকে ঘুঘু পাখির অবস্থান করে অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন প্রতিটি প্রানি ভালবাসা আর আদরের কাঙ্গাল, পাখি তার ব্যতিক্রম নয়, আমরা চেষ্টা করছি ঘুঘু পাখিকে আমাদের মাঝে রাখতে, প্রকৃতিকে বাঁচাতে হলে পাখির প্রতি সহনশীল হতে হবে, শুধুমাত্র পাখি শিকার রোধ নয়, পাখির প্রতি সামান্যতম অবহেলা বা অনাদর করা হতে বিরত থাকতে হবে।