দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ সুন্দরবন চিংড়ী শিল্প সাতক্ষীরাতে বিশেষভাবে পরিচিত করলেও সাম¯প্রতিক বছরগুলোতে সাতক্ষীরাকে আলোকিত করছে এবং জেলার ভৌগলিকতা পেরিয়ে জাতীয়ভাবে আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছে রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র। জাতীয়ভাবে আলোকিত অনন্য অসাধারণ সৌন্দর্যে্যর লীলাভূমি দেবহাটার অন্ত:রাত্মা এই ম্যানগ্রোভ বর্তমান সময়ে মহাবিপদের আবরণে। বাংলাদেশ ভারত বিভক্তকরণ ইছামতি নদীর তীরে সুন্দরবনের আদলে অপরূপ সৃষ্টি রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ দিকে চোখ রাঙাচ্ছে খরস্রোত ইছামতি। রাক্ষুসে ইছামতির ভাঙ্গনের ধকলে নাকাল হয়ে চরম বিপদজনক পর্যায়ে অপরুপ সুন্দরের ছোয়া এই ম্যানগ্রোভ। প্রতিনিয়ত খরস্রোত ইছামতির জোয়ারের লবণাক্ত পানিতে সর্বনাশা বিধৌতের যাতাকলে ভেঙ্গেই চলেছে দেবহাটা অমূল্য সম্পদ খ্যাত পর্যটন কেন্দ্রটি। অবিলম্বে ইছামতির পানি প্রবাহ জোয়ার প্রতিরোধের মাধ্যমেই সম্ভব ম্যানগ্রোভকে রক্ষা করা। উপজেলা প্রশাসন প্রানন্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই জাতীয় সম্পদ রক্ষায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ ভাংগন রোধ বিশেষজ্ঞদের অভিমত নদী ভাংগনরোধের দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া বালু অথবা মাটি ভর্তি বিশেষ বস্তা ম্যানগ্রোভের ভাংগন কবলিত এলাকায় ফেলালে জোয়ারের পানি রোধ সহ ভাংগন বন্ধ করা সম্ভব। এই মুহূর্তে ম্যানগ্রোভকে রক্ষা করতে বালু রক্ষা অথবা মাটি রক্ষাই ভরসা। যে ইছামতির করাল গ্রামে ভগ্নদশায় এবং খাদের কিনারে পর্যটন কেন্দ্র সেই ইছামতির জেগে ওঠা চরের বালুই রক্ষা করতে পারে জাতীয়ভাবে আলোচিত আলোকিত শত সহস্র পর্যটকের আগ্রহের উৎস্যস্থল ম্যানগ্রোভকে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামানের নিরলস প্রচেষ্টা, সৃষ্টিশীলতা, প্রতিনিয়ত দৃষ্টিনন্দন সৃষ্টি ম্যানগ্রোভকে পর্যটকদের তৃষ্ণা মেটালেও প্রকৃতির নিষ্ঠুরতায় ক্ষত বিক্ষত হতে চলেছে প্রাণের ম্যানগ্রোভ। প্রতিদিনই দুর দুরান্ত হতে পর্যটকরা আসছে সীমান্তের নয়নাভিরাম এই পর্যটন কেন্দ্রে। আগতদের উলেখযোগ্য সংখ্যক কর্মজীজী, চাকুরীজীবী, পেশাজীবী এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী আগ্রহের স্থল এই কেন্দ্র। সুন্দরবনের আবরণে প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য দুই দেশের সীমান্ত রেখার এই ম্যানগ্রোভ এর সৌন্দর্য আরও কলেবর বৃদ্ধির এই মহাক্ষণে শুরু হয়েছে রক্তক্ষরণ ভাঙ্গণ আর জোয়ারের পানি প্রবাহ রোধ করা না গেলে সহসাই দেশের আলোকিত দেবহাটা তথা সাতক্ষীরার অসাধারণ সৃষ্টি ইছামতির গর্ভে হারিয়ে যেতে পারে। ম্যানগ্রোভের বিপদজনক পরিস্থিতির বিষয়ে দেবহাটা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পর্যটনকেন্দ্রটি দৃশ্যত: জাতীয় সম্পদ, আমি আমার সাধ্যমত ম্যানগ্রোভের সাথে সংশিষ্টদের নিয়ে উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি যা দৃশ্যমান।