বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশ্বে নিজেকে বিশেষ ভাবে পরিচিতি ঘটিয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশে লাল সবুজের দেশটির সুনাম আর সুখ্যাতি বিশেষ ভাবে আলেখ্য। বাংলাদেশ যতগুলো বিষয়ে নিজেকে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করেছে তার মধ্যে অন্যতম অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ও সমৃদ্ধি। আমাদের দেশ বিশ্বের উন্নত ও আধুনিক যে কোন দেশের তুলনায় নিজেকে বিশেষ ভাবে সমৃদ্ধশালী করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে কয়েক বছর পূর্বেও বাংলাদেশ দরিদ্র দেশের তালিকায় নিজেকে চিহিৃত করলেও সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়া বা পিছিয়ে থাকা দেশ নয়, আমরা সমৃদ্ধশালী, আত্মনির্ভরশীল এবং উন্নয়নকামী দেশ। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে তথা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে কতটুকু শক্তিশালী তার প্রকৃত উদহারন আমাদের নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মান। বাংলাদেশ কারোর উপর নির্ভরশীল নয়, পদ্মা সেতু বিশ্বের বিস্ময় আর এই পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে আমাদের নিজেদের অর্থে সেই বিষয়টি কেবল বিস্ময়ের নয় সক্ষমতারও বটে। দেশ অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময়ে অর্থনীতিতে এগিয়ে আছে আর অর্থনীতিতে এগিয়ে থাকবার একমাত্র কারন বৈদেশিক মুদ্রার উপার্জন, আমাদের দেশের গার্মেন্টস শিল্প, চিংড়ী শিল্প চা শিল্প, চামড়া, ঔষধ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সহ বহুবিধ সামগ্রী বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হচ্ছে আর উক্ত সব পণ্য সামগ্রী রপ্তানীর মাাধ্যমে দেশ প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীন রাজস্ব উপার্জনের ক্ষেত্র ও কম নয়, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতার প্ররিপ্রেক্ষিতে যে বিষয়টি বিশেষ ভাবে আলেখ্য তা হলো যতই দিন যাচ্ছে ততোই আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্র বিস্তৃত ঘটছে। প্রয়োজন দেশে নতুন নতুন সম্ভাবনাময় শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের তবেই না দেশ বর্তমান সময় অপেক্ষা অধিকতর বৈদেশিক মুদ্রা উপাজর্জন করতে সক্ষম হবে।