দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ড. মুহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী কালীন সরকারের অগ্রযাত্রায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনে কাঙ্খিত ভুমিকা রক্ষা কারী ছাত্র জনতার ভূমিকা ইতিহাসের অংশে পরিনত হয়েছে। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করার পরে সারা দেশে বিজয় উৎসব, আনন্দস্রোত আর স্বস্তির যে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছিল তা হরিসে বিষাদে পরিনত হয়। এক শ্রেনির দুর্বৃত্ত, দুষ্ট চক্র ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নী সংযোগের ঘটনা ঘটাতে থাকে। যা অনাকাঙ্খিত এবং ছাত্র জনতার বিজয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। কোন গনতান্ত্রীক বা বিজয়ী পক্ষ ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নী সংযোগের মত ঘটনা ঘটাতে পারে না। ৫ আগষ্ট্রের পরের ঘটনা প্রবাহ শান্তীকামী মানবতার জন্য কেবল উদ্বেগের নয় অস্বস্তির এবং আতঙ্কের ও কারন ছিল। অন্তবর্তী সরকার প্রতিষ্ঠায় দেশ প্রেমিক সেনা বাহিনীর তৎপরতায় ক্রমান্বয়ে দুর্বৃত্তদের অনাকাঙ্খিত কর্মযজ্ঞ হ্রাস পেতে থাকে। বর্তমান সময়ে আইন শৃঙ্খলা পুরোপুরি স্বাভাবিক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জনসাধারনের জান মালের রক্ষায় কর্মতৎপরতা শুরু করেছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় ভাংচুর সহ সমাজ বিরোধী কর্মযজ্ঞ দেখা গেছে। শান্ত এই জেলাকে অস্তিতিশীল করার হীন প্রচেষ্টা চালিয়েছে দুষ্টচক্র। সাতক্ষীরা শহর সহ উপজেলা গুলোতে চলছে ভাংচুর লুটপাট, অগ্নীসংযোগ। প্রতিপক্ষকে জব্দ করার সেই সাথে রাজনীতির ছদ্ধাবরণে লুটপাট চলেছে। বর্তমানে সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তদের দস্যুপনা নেই, অথচ সেই সকল দুর্বৃত্তরা তো আছে? শান্তি প্রিয় সাতক্ষীরা বাসির প্রত্যাশা সেই সকল আকাঙ্খিত ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার। প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মি রাজনীতিকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করবেন। হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নীসংযোগ করবেন না। বিএনপির চেয়ারপারসন প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াত ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বারবার আহবান জানিয়েছেন প্রতিশোধ এবং প্রতিহিংসা নয়, আমরা শান্তী চাই। তারপরও দস্যুপনার ঘটনা ঘটেছে তাহলে এটাই দৃশ্যমান হয় যে, যারা ভাংচুর লুটপাট করেছে তারা উলে−খিত দলের আদর্শে বিশ্বাসী নয়। সাতক্ষীরার পরিস্থিতি শান্ত, আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক এখন সময় এসেছে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার। দেশে আইন, আইনের শাসন বিদ্যমান বিধায় আইন হাতে তুলে নেওয়ার ধৃষ্টতা যারা প্রদর্শন করে তাদেরকে আইনের আওতায় না আনলে আইনের শাসনের যথাযথ প্রয়োগ যেমন ঘটবে না অনুরুপ ক্ষতিগ্রস্থতা ন্যায়বিচার হতে বঞ্চিত হবে। ছাত্র জনতার স্বতস্ফুর্ত আন্দলোন এবং গন অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কারীরা বা সুযোগ সন্ধানী অথবা রাজনীতির খোলসে থাকা সন্ত্রাসী সুবিধা ভোগী যারাই আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটিয়ে লুটপাট ভাংচুর, অগ্নীসংযোগ করেছে তাদের চিহ্নিত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা সময়ের দাবী।