এফএনএস এক্সক্লুসিভ: দেশে সম্ভাব্য গ্যাস মজুতের পরিমাণ জানার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ওই লক্ষ্যে গ্যাস অনুসন্ধানে চলমান কূপ খনন প্রকল্পের অগ্রগতি, আসন্ন ১০০ কূপ খনন প্রকল্প এবং তাতে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মূলত এ উদ্যোগের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে কতো দ্রুত এবং কী পরিমাণ গ্যাস যুক্ত করা যাবে তা যাচাই করা হবে। সেজন্য জ্বালানি বিভাগ এরই মধ্যে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি দেশের গ্যাস খাতের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশে চলমান ৫০টি কূপ খনন প্রকল্প। আরো ১০০ কূপ খনন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। তবে ওই প্রকল্পের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩১টি কূপের ওয়ার্কওভার সময়সীমা জানতে চাওয়া হয়েছে। আর বাকি ৬৯টি কূপে কতোটুকু গ্যাস পাওয়া যাবে তার সম্ভাবনা, গ্যাসকূপের লোকেশন, গ্রিড লাইন, গ্যাসের মজুদের পর্যালোচনাসহ সুপারিশ পেট্রোবাংলায় জমা দিতে বলেছে জ্বালানি বিভাগ। সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে যেসব কূপ খনন প্রকল্প থেকে গ্যাস থাকার বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে সরকার সেগুলো দ্রুত গ্রিডে আনতে চাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে নতুন কূপ খননের আগে গঠিত কমিটি আগের পরিকল্পনা মূল্যায়ন করবে। এর মাধ্যমে মূলত গ্যাসের বাড়তি সরবরাহের বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ নিতে চায় সরকার। বর্তমানে দেশে চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে অন্তত এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। ওই ঘাটতি মেটাতে ২০২২ সালের শেষে বিগত সরকার ৫০টি কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছিলো। যা এখনো চলমান। এর মধ্যে পেট্রোবাংলা ১৬টি কূপে গ্যাস পেয়েছে, যার পরিমাণ ১৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে তিনটি কূপের গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন করা যাবে না। আবার যেসব কূপে গ্যাস মিলেছে তার মধ্যে দ্বীপজেলা ভোলায় ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। চলতি বছরের মধ্যে পেট্রোবাংলা আরো ২১টি কূপ খনন করতে চায়। বাপেক্সের রিগ দিয়ে ওই কূপ খনন বা ওয়ার্কওভার করে জাতীয় গ্রিডে ১৯৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এদিকে বাপেক্স পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমদকে আহ্বায়ক এবং জ্বালানি বিভাগের উপসচিবকে (উন্নয়ন—১) সদস্য সচিবের দায়িত্ব দিয়ে ২১ জানুয়ারি একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে ওই কমিটিকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দিতে বলা হয়েছে।