সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের ক্ষমতা কুক্ষিগতকারী বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বলসহ দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবীংেত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ সাতক্ষীরা শহর শিবিরের উদ্যোগে আন্ত:থানা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের কমিটি গঠন আশাশুনি সমাজ কল্যাণ পরিষদে অর্থে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও অনুদান বিতরণ নূরনগর আমীরের শপথ মজলিশে শূরা নির্বাচন ও কর্ম পরিষদ গঠন আশাশুনি টঙ্গী ইজতেমায় হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সাতক্ষীরা উলামা পরিষদের মানব বন্ধন সাতক্ষীরায় কৃষি ঋণ কমিটির সভা নেহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসুস্থ ছাত্রীর বড়ীতে \ উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থী পরিবার বটিয়াঘাটায় ইজতেমায় হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কার মানুষ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২

এফএনএস বিদেশ : মে মাসে শ্রীলঙ্কার কলম্বো শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর মীনু মেকালা ও নিরোশ রবীন্দ্র তাদের দুই ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে একটি পুরোনো ট্রলারে চার হাজার ৭০০ কিলোমিটারের সমুদ্রযাত্রা করেছিলেন। এর জন্য তাদের পরিবারের সব সঞ্চয় খরচ করতে হয়েছিল তাদের। কিন্তু সব অর্থ খুইয়েছিলেন তারা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মিনু আর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নিরোশ দুবাইতে অভিবাসী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেছিলেন। ওই সময় তাদের দুজনের প্রেম হয়। পারিবারিক বিরোধিতা সত্তে¡ও ২০০৫ সালে কলম্বো থেকে উত্তরে কুদামাদুওয়েলায় নিরোশের গ্রামের বাড়িতে দুজনের বিয়ে হয়। মে মাসে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হওয়ার পর শত শত শ্রীলঙ্কান মাছ ধরার নৌকায় করে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মিনু-নিরোশ দম্পতি। শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত তিন মাসে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টায় প্রায় এক হাজার লোক, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। শ্রীলঙ্কার জলসীমাতে তাদের অনেককে আটক করা হয়। অবৈধভাবে দেশ ত্যাগ করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শ্রীলঙ্কা সরকার। মীনু ও নিরোশের মতো কেউ কেউ অস্ট্রেলিয়ার জলসীমায় পৌঁছেছিল। কিন্তু সেখানেই তারা আটক হন এবং দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ তাদের বিচার শুরু করে। মীনুর জামিন মঞ্জুর হলেও এখনও কারাগারে আছেন নিরোশ। করোনা মহামারির কারণে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির প্রধান খাত পর্যটন শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের সরকার কর হ্রাস করায় দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে দেশটি। প্রবল বিক্ষোভের মুখে জুলাই মাসে রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com