এফএনএস: করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের মু“েসরকার আরোপিত বিধিনিধেষ প্রায় দেড় মাস (৩৯ দিন) পর তুলে নেওয়া হলো। গত ৩ ফেব্র“য়ারি বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২১ ফেব্র“য়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিল। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও বাংলাদেশে এ রোগের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের জারি করা সব বিধিনিষেধ ও নির্দেশনার সঙ্গে দুটি শর্ত সংশোধন করে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ওই বিধিনিষেধ ৭ ফেব্র“য়ারি থেকে ২১ ফেব্র“য়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকার কথা বলা হয়। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সারাদেশে বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। নতুন বছরের প্রথম ওই বিধিনিষেধে ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় এই ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৬ ফেব্র“য়ারি। কিন্তু পরে তা ২১ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ফলে গতকাল মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। এ ক্ষেত্রে যেসব শিক্ষার্থী করোনা প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন তারা সশরীরে ক্লাস করতে পারবেন। অন্যান্যে“অনলাইন ক্লাসে যুক্ত থাকতে হবে। এদিকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আগামী ২২ ফেব্র“য়ারি থেকে বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে। নতুন করে আর বিধিনিষেধ দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। তবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জনসমাগমস্থলে যাওয়া এবং গণপরিবহনে চলাচলের ক্ষেত্রে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরার ওপর জোর দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ কার্যকর হয়। ২১ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নতুন করে ৫ দফা নির্দেশনা দেয় সরকার।