রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শ্যামনগরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণ বিধি ভঙ্গ হচ্ছে কী না- তা দেখভালে মাঠে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে শ্যামনগর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। গত ২৮ নভেম্বর থেকে আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৯ দিনের জন্য মাঠে সার্বক্ষনিক থাকবেন তারা। আচরণ বিধি লংঘন বা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ১টায় নির্বাচনী আচরন বিধিমালা প্রতিপালনে টহল চলমান রাখতে শ্যামনগর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোটর সাইকেল গ্যারেজে জনগনকে নির্দেশনা দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান। এসময় তিনি নির্বাচনী বিধিমালা মেনে চলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সকলকে নির্দেশনা মেনে জাতীয় নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রচারের ব্যানার ও ফেস্টুন লাগাতে পারবে। নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা মোতাবেক প্রচার সামগ্রী অপসারণের জন্য অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর ইসির উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩০০টি সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। প্রতি তিনটি ইউনিয়নের জন্য একজন, দুর্গম (পার্বত্য এলাকাসহ) ও দূরবর্তী প্রতি দুটি ইউনিয়নের জন্য একজন এবং প্রতি পৌরসভার জন্য তিনজন, তবে বৃহৎ পৌরসভার ক্ষেত্রে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের প্রতি ৪/৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একজন, তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়া সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জোন/এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে। যেসব উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মরত নেই সেখানে বিভাগ/জেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে অথবা অন্য কোনো দপ্তর/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে নিয়োগ দেওয়া যাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে সমন্বয় করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com