একে সোহাগ, কেশবপুর (যশোর) থেকে ॥ জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন যশোর-০৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আজিজুল ইসলাম আজিজ। নৌকার প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারকে হারিয়ে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জানা গেছে, সদ্য নির্বাচিত সংসদ খন্দকার আজিজুল ইসলাম আজিজ কেশবপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ব্রহ্মকাটি গ্রামের মৃত খন্দকার রফিকুজ্জামান ও মাতা মৃত ফরিদা বেগমের ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে আজিজ ছোট ছেলে। গত ১৫-০৪-১৯৯৫ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পাঁজিয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে তিনি স্নাতক পাশ করেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর সহধর্মিনী সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেশবপুরের সংসদ ইসমাত আরা সাদেকের সংস্পর্শে এসে তিনি কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হন। ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুর পর এই আসনটি শূন্য হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার ২০১৭ সালে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সাদেক পরিবারের খুব আস্থাভাজন হওয়ায় শাহিন চাকলাদার তাকে হত্যার হুমকী দিলে জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি কেশবপুর ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। দীর্ঘ আড়াই বছর পর কেশবপুরে ফিরে তিনি ২০২১ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে শাহিন চাকলাদারের মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেন। মনোনয়ন বোর্ড তাকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে শাহিন চাকলাদারকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় চাকলাদার ও তার পোষ্য বাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত দলমত নির্বিশেষে কেশবপুরবাসী ফুঁসে ওঠে। শাহিন চাকলাদারের হাত থেকে কেশবপুরবাসীকে বাঁচাতে তিনি সাধারণ জনগণের চাপের মুখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধ্য হন। অবশেষে গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে শাহিন চাকলাদারের শত বাঁধা-বিপত্তি, হুমকী-ধামকী ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নিরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন কেশবপুরের নির্যাতিত ভোটাররা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে কেশবপুরের নব-নির্বাচিত সংসদ খন্দকার আজিজুল ইসলাম আজিজ বয়সে সর্বকনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। কেশবপুরের সংসদ খন্দকার আজিজুল ইসলাম আজিজ বলেন, আমি সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে নিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।