কপিলমুনি প্রতিনিধিঃ বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে উর্দ্ধগতির বাজারে সরকার প্রদত্ত খোলা বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে সাধারণ ও নিন্ম আয়ের মানুষ অনেকটা খুশি। তবে পাইকগাছা উপজেলায় প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্ধ একেবারে অপ্রতুল। তাই বরাদ্ধ বাড়ানোর পাশাশি ডিলার বাড়ানোর বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল। এব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল। প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুলনা জেলা পাইকগাছা উপজেলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ও সুপারিশকৃত টিসিবির ডিলার রয়েছে ৫ জন। উপজেলা জুড়ে কয়েক লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। সেখানে প্রতি মাসে ডিলাররা চার থেকে পাঁচবারের বিপরীতে ৬,৪০০ কেজি থেকে ৮,০০০ হাজার কেজি পণ্য বরাদ্ধ পাচ্ছেন। এরমধ্যে তৈল, ডাউল, পেঁয়াজ ও চিনি এ বরাদ্ধের আওয়তাভুক্ত। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় হরিঢালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে টিসিবির ১৬০০ কেজি মালামাল ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয় করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাকিব ট্রের্ডাস এর পক্ষে ডিলার মনোয়ার হোসেন রিংকু বলেন, জন প্রতি একটি প্যাকেজের মূল্য নেওয়া হচ্ছে ৪৬০ টাকা করে। এরমধ্যে ভোজ্য তৈল-২ লিটার, যার মূল্য লিটার প্রতি ১১০ টাকা করে ২২০ টাকা, মুসুরির ডাউল ২ কেজি, যার মূল্য কেজি প্রতি ৬৫ টাকা করে ১৩০ টাকা, চিনি ২ কেজি, যার মূল্য কেজি প্রতি ৫৫ টাকা করে ১১০ টাকা। সবমিলিয়ে আমার এবারের প্রাপ্ত বরাদ্ধে প্রায় ৩০০ জন ব্যাক্তি এই প্যাকেজের আওয়তায় আসছে। তবে প্রয়োজনের তাগিদে বরাদ্ধের পরিমাণ একটু বেশি হলে ভাল হতো। এটা আমাদের কিছু করণীয় নাই। বরাদ্ধের বিপরীতে যতটুকু নিত্য পণ্য আমরা পেয়ে থাকি সেটাই ভোক্তা পর্যায়ে সরকারী নিতিমালার আলোকে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে বিক্রয় করে থাকি। উপরোক্ত বিষয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের পূর্বে পণ্যের সঠিক হিসাব ও সুষ্ঠু বন্টনের তদারকি করেন, উপজেলা ট্যাগ অফিসারের পক্ষে কপিলমুনি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার মোঃ আব্দুস সবুর।