দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চামড়া নাম বারবার আলোচিত। দেশের দ্বিতীয় রপ্তানী পন্য হিসেবে চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্যের স্থান নির্ধারিত থাকলেও চরম দুঃসময় অতিক্রম করছে এই অপার সম্ভাবনাময় শিল্প। গত ছয় বছরে গরুর চামড়ার মূল্য অর্ধেকে নেমে এসেছে, অন্যদিকে ছাগলের চামড়ার যেন মূল্যই নেই। সদ্য শেষ হওয়া ঈদুল আযহায় দেশে অগনিত গরু, ছাগল কোরবানী হয়েছে কিন্তু চামড়ার কাঙ্খিত মুল্য নেই। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গত ৩ জুন কোরবানীর পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারন করা হলেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে সরকারের মহান উদ্যোগ পরিপূর্ণতা পাইনি। চামড়ার কাঙ্খিত মুল্য অপেক্ষা প্রতিটি গরুর চামড়া প্রকার ভেদে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা বিক্রি হতো, বর্তমানে সেই চামড়া প্রকার ভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চামড়া জাত দ্রব্যের মুল্য ও আগনু মুখি। গতদুই বছর পূর্বে জুতা বেল্ট, ব্যাগ এরমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন কিন্তু চামড়ার মূল্য যেন পানির দামের সাথে সম্পৃক্ত দেশের শত শত এতিম খানার এতিম শিক্ষার্থীদের ভরন পোষন ও পড়ালেখার অন্যতম অবলম্বন হিসেবে স্বীকৃত চামড়া, বিশেষ করে কোরবানীন চামড়া এতিম খানায় দান করার ক্ষেত্রে কোরবানী দাতা দের আগ্রহ বেশী কিন্তু দানকরা চামড়ার যথাযথ মুল্য না পাওয়ায় আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে এতিম খানা গুলো। যশোরের পুলের হাট ও সাতক্ষীরার পারুলিয়ার চামড়ার হাট অসহায়, চামড়া বেচা কেনার উৎসব নেই। চামড়া শিল্পের সোনালী অতিত ফিরিয়ে আনতে হবে।