বিলাল হুসাইন নগরঘাটা থেকে ঃ লোকশান পুষিয়ে উঠতে ঘেরের ভেড়িতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষক মোঃ মশিয়ার রহমান। কুমড়া চাষে এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় কিছুটা হলেও ফুরফুরে মেজাজে আছেন তিনি। বেঙ্গল সুইট -২ হাইব্রীড জাতের ১৪০০ শত বীজের চারা ঘেরের ভেড়িতে রোপন করেছেন দক্ষিন নগরঘাটা গ্রামের মৃত্যু আব্দুল গফুর সরদারের পুত্র মোঃ মশিয়ার রহমান। পশ্চিম বিলের ১০ বিঘা ঘেরের ভেড়িতে তিনি এই মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। বীজ সংগ্রহ করেছেন চুকনগর বাজার থেকে। মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদ নিয়ে দৈনিক দৃষ্টিপাত প্রতিনিধিকে কৃষক মোঃ মশিয়ার রহমান জানান উন্নয়ন প্রচেষ্টার নিকট থেকে দেড় লক্ষ টাকার মত ঋৃণ নিয়ে তিনি ঘেরের ভেড়িতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। চারা রোপন থেকে শুরু করে ফলন ওঠা পর্যন্ত খরচ হয়েছে আনুমানিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত। চারা রোপন থেকে মাত্র ২ মাসের মধ্যে কুমড়া গাছে পরিপক্ক ফলন ধরেছে। বর্তমানে বাজার দর ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে এইভাবে যদি বাজার দর স্থিতিশীল থাকে তাহলে ৩ লক্ষাধীক টাকার অধীক মিষ্টি কুমড়া কেনা বেচা হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি জানান কোন কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ছাড়ায় নিজ উদ্দ্যোগে এই কুমড়া চাষ করেছেন। এছাড়া কাপাসডাংঙ্গা গ্রামের শংকর শীল ৩৩ শতক মৎস্য ঘেরের জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। তিনি জানান বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ বছর হয়তো মৎস্য ঘেরে তেমন আর লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ ব্যাপারে তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।