বিলাল হুসাইন নগরঘাটা থেকে ঃ তালার নগরঘাটায় মৎস্য উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়তি আয় হিসাবে মৎস্য ঘেরের ভেঁড়িতে কলা চাষে বেশ মনযোগ দিয়েছেন কৃষকরা। শুরুতে কিছু সংখ্যক মৎস্য ঘেঁরের ভেঁড়িতে কলা চাষ করতে দেখা গেলেও এখন অনেকই ঘেরের ভেঁড়িতে কলা চাষ বেশ লক্ষনীয়। ঘেরের ভেঁড়িতে সারি সারি কলা গাছ। গায়ে গায়ে কলার কাঁধি। মনোরম দৃশ্য দেখে মন জুড়িয়ে যায়। এ যেন গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের অপরুপ দৃশ্য। কলা আমাদের অত্যন্ত সুস্বাদু একটি সবজ্বি। কাঁচা এবং পাঁকা দুই ভাবে খাওয়া যায়। রুগীর পোত্য হিসেবে কাঁচা কলার কোন বিকল্প নেই। পাঁকা কলা খেতে খুব সুস্বাদু। কলায় পর্যাপ্ত পরিমানে আয়রণ যুক্ত রয়েছে। কলা চাষাবাদ নিয়ে একান্ত সাক্ষাতকালে কয়েকজন কলা চাষী দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান মৎস্য ঘেঁরে এখন পর্যাপ্ত পরিমান খরচ। এই বাড়তি খরচ পুষিয়ে উঠতে বিকল্প আয় হিসাবে ঘেঁরের ভেঁড়িতে কলা চাষ পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন তারা। তবে অনেকেই জানান কলা চাষে একদিকে যেমন বাড়তি আয় ঘুচবে অন্যদিকে ঘেরের ভেঁড়ি ভাঙ্গন রোধ থেকে ঘের রক্ষা পাবে। তারা আরও জানান ঘেরের ভেঁড়িতে কাঁঠালে কলা, বড় বাগলো কলা, সাগর কলা, কাবিল কলা, সবরি কলাসহ বিভিন্ন জাতের কাঁচা পাঁকা কলা উৎপাদন করে থাকেন তারা। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা কলার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি পাঁকা কলার মূল্য ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।