বিলাল হুসাইন নগরঘাটা থেকে ঃ নগরঘাটা ইউনিয়নের সম্মনডাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালটির নাজুক অবস্থা। সঠিক পর্যোবেক্ষনের অভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটির ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরী হয়েছে। শ্রেনী কক্ষের মধ্যে হাঁটু পানি আর কচুড়ি পোনার মধ্যে মাছের আনাগোনা পরিলক্ষিত হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ভবিষ্যৎ অনিশ্চতার মধ্যে পড়তে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শ্রেনী কক্ষের মধ্যে হাঁটু পানি ময়লা অবর্জনা আর কচুড়ি পোনায় পরিপূর্ণ। শ্রেনী কক্ষের মধ্যে আসবাবপত্রসহ চেয়ার টেবিল ও বেঞ্চ অগোছালো ভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের পাঠ্য পুস্তক যত্রতত্র ভাবে পড়ে আছে টেবিলের উপর। দরজা নেই জানালা নেই উন্মুক্ত ভাবে পড়ে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া কৃষকের ব্যবহ্নত একটি ধান ঝাড়া মেশিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় শ্রেনী কক্ষের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিদ্যালয়টির দেয়ালের প্লাষ্টার খসে পড়ছে। ফলে যে কোন মূহুর্তে সাদ ধসে পড়ার দূর্ঘটনা আশংখা করছে এলাকাবাসীর। তবে অপরিকল্পিত মাছের ঘের আর খালের পানি দ্রুত নিস্কাসন না হওয়ায় জলাবদ্ধতার কারণে বছরের প্রায় অর্ধেক সময় ধরে ভবনটি থাকে হাঁটু পানির নিচে। শিক্ষার্থীরা খোলা মাঠে খেলাধূলার কারণে অনেক শিক্ষার্থী পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিভাবকরা জানান। এ কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাধূলা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত। সম্মনডাংগা, রায়পুর এবং হাজীপুর এই তিনটি গ্রামের অর্ধশতাধীক ছেলে মেয়েরা অত্র বিদ্যালয়ে পাঠদান করে বলে নিমাই চন্দ্র মন্ডল জানান। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক অমল কৃষ্ণ সরকারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সভাপতির দোহাই দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান। তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান ২০১৯ সালে ভবনটি নির্মান কাজের জন্য বরাদ্দ থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুপযোগী থাকায় মালামাল নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এলাকাটি নিম্ন অঞ্চল হওয়ায় ভবনটি সাইক্লোন সেন্টারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে।