শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা দেশের দুই সমুদ্রবন্দরে চালু হচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বামী দাবি করলেন মডেল মেঘনা বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু রোববার আবার বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী খেলোয়াড় দেবহাটার ঘরে ঘরে ছাগল পালন বাণিজ্যিক ভাবে চলছে চাষ \ খামার দেখভালে এগিয়ে মা বোনেরা শ্যামনগরে পরীক্ষায় নকলের দায়ে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার দায়িত্বহীনতায় ১২ শিক্ষক অব্যাহতি মাহফিলের টাকা গ্রহণ করে বক্তা না আসায় আদালতে মামলা

নতুনের মতো উজ্জ্বল পোশাক পেতে করনীয়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: পরিচ্ছন্ন সুন্দর পোশাকের আলাদা একটা আবেদন আছে। আর সুন্দর পোশাক নিয়ে মজার গল্পটাও আমাদের অনেকের জানা। শেখ সাদী একবার সাদামাটা পুরনো ও ময়লা পোশাকে দাওয়াতে গিয়েছিলেন বলে তাঁকে সমাদরই করা হয়নি। তারপর তিনি নতুন ঝকঝকে ও সুন্দর পোশাক পরে দাওয়াতে হাজির হন। এরপর সবাই তাঁকে বাড়তি খাতির ও আপ্যায়ন শুরু করে। তিনিও মজা করে খাবারগুলো পোশাকের পকেটে পুরতে শুরু করেন। গল্পের শিক্ষাটা অন্য রকম হলেও সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা আমাদের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে। এজন্য সব সময় সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা উচিত। যতœ নিলে যেকোনো পোশাকই দীর্ঘদিন সুন্দর থাকে। পোশাক পরলে তাতে ময়লা হওয়াই স্বাভাবিক। আবার পরিষ্কারের নিয়ম মানলে দীর্ঘদিন পোশাকগুলো নতুনের মতোই উজ্জ্বল থাকে। এজন্য পোশাক পরিষ্কারের আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সব পোশাকে ট্যাগ লাগানো থাকে। তাতে পোশাকটি সম্পর্কে অনেক তথ্য লেখা থাকে। সেটি কোন উপাদানে তৈরি, কিভাবে ধুতে হবে বা ইস্ত্রি করতে হবে এ রকম নানা নির্দেশনা দেওয়া থাকে। কাপড় ধোয়ার সময় নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে। এতে সেই পোশাকটি সুন্দরভাবে পরিষ্কার হয় এবং দীর্ঘদিন ভালো থাকে। আগে সাবান দিয়ে কাপড় কাচার কাজটি বেশি প্রচলিত ছিল। এখন সেই স্থান ডিটারজেন্ট পাউডারের দখলে। ডিটারজেন্টে সময় কম লাগে। একসঙ্গে অনেকগুলো কাপড় ধোয়া যায়। আলাদা করে সাবানের মতো কাপড় হাতে কাচতে হয় না। এজন্য কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে ডিটারজেন্টের জনপ্রিয়তা এখন বেশি। তবে ডিটারজেন্টে কাপড় ধুলেও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ডিটারজেন্টে একসঙ্গে অনেক কাপড় ধোয়া যায়। তাই বলে সব কাপড় একসঙ্গে বালতিতে ভেজানো যাবে না। বিশেষ করে নতুন পোশাক আলাদা ধোয়ার ব্যাপারে সতর্কতা মানতে হবে। নতুন পোশাক থেকে রং ওঠার আশঙ্কা থাকে। এতে অন্য কাপড়গুলোতে রং মিশে যাওয়ার ভয় থাকে। সাদা পোশাক ও রঙিন পোশাক আলাদা আলাদা পরিষ্কার করতে হবে। বেশি পরিষ্কারের আশায় পোশাক বেশিক্ষণ ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখা যাবে না। এতে কাপড় নরম হয়, বেশিদিন টেকে না। এজন্য ডিটারজেন্টের প্যাকেটে থাকা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। জিন্সের পোশাক, যেকোনো মোটা কাপড়ের শার্ট, প্যান্ট উল্টে নিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তাহলে দ্রæত ময়লা উঠে আসবে। বেশি ময়লা কাপড় পরিষ্কারের জন্য গরম পানি ব্যবহারের চল রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্কতা মানতে হবে। বেশি গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে কাপড় ভেজানো যাবে না। কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। পানি হালকা গরম হলে ময়লা দ্রæত বের হয়ে যায়। রোদে মেলে দেওয়ার সময়ও কাপড় উল্টো করে দিতে হবে। এতে রং নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না। কাপড় রোদে শুকিয়ে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। তবে সরাসরি বেশি রোদে না দেওয়াই ভালো। বরং আলো-বাতাসযুক্ত খোলা স্থানে কম রোদে কাপড় শুকালে বেশিদিন ভালো থাকে। কাপড় মেলে দেওয়ার সময় হ্যাংকার ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন টান টান করে মেলে দেওয়া হয়। নইলে কাপড় কুচকে বা আকৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কিছু পোশাক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ড্রাই ক্লিন করার পরামর্শ দেওয়া থাকে। সে ক্ষেত্রে ড্রাই ক্লিন করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের। যদি তা একান্তই সম্ভব না হয়, তবে ঠাÐা পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com