বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। আমাদের দেশ আবহমানকাল যাবৎ নদ নদীতে পরিপূর্ণ। দেশের প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়, যাতায়াত যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক উপার্জনের ক্ষেত্রে নদ নদীর বিকল্প নেই। বাস্তবতা হলো আমাদের জীবন যাত্রার সাথে অতি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে নদ নদী। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ আর আমাদের দেশ কৃষি প্রধান হওয়ার উৎপাদনে কাঙ্খিত ভূমিকা রক্ষায় নদ নদী অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ নদী হতে মৎস্য আরোহন করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই নদী নির্ভূর দেশ বলা হয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারনে আর অর্থনীতির উন্নয়নে দেশের অন্যতম পুরোধা কৃষি, যাতায়াত যোগাযোগ ও অর্থনীতি এই তিনটিই নদীর কল্যানে বাংলাদেশ তার সুফল ভোগ করছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ নদী জোয়ার ভাটা সমৃদ্ধ। দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে নদ নদী, জীবনের সাথে মিশে থাকা, অস্তিত্ব রক্ষায় সর্বদা অগ্রগামী আমাদের নদ নদীকে রক্ষা করতে হবে। প্রতিনিয়ত নদী ভাংছে আবার নদী দখলে দুষনে মৃত্য প্রায় হতে চলেছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় ইছামতি, কালিন্দী এবং রায় মঙ্গল অবিরাম ভাঙ্গনের মুখে। একটি দেশের অভ্যন্তর ভাগ দিয়ে প্রবাহীত নদ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়লে ধ্বংস হয় সম্পদ এবং নদী ভাঙ্গনে ভু-খন্ড হারিয়ে যায় না। কিন্তু সীমান্ত নদী ভাঙ্গনের কবলে, পড়লে নদী গর্ভে ভূ-খন্ড হারিয়ে যায় যে কারনে দেশের মানচিত্র পরিবর্তন পরিবর্ধন হতে থাকে। ইছামতি, কালিন্দী এবং রায়মঙ্গলের ভাঙ্গন সা¤প্রতিক সময়ের জন্য নয়, দীর্ঘ সময় যাবৎ উলেখিত নদ নদী ভাঙ্গনের মাধ্যমে ভূ-খন্ড হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ভাঙ্গন কবলিত নদ নদী গুলোর ভাঙ্গন রোধ করতে হবে। ভাঙ্গন রোধে পরিকল্পনা প্রনয়ন ও গ্রহনের মাধ্যমে স্থায়ী ভাঙ্গন রোধ করতে হবে। দেশকে বাঁচাতে দেশের অর্থনীতিকে রক্ষায় নদী ভাঙ্গন রোধের বিকল্প নেই।