এফএনএস বিদেশ : কোভিড-১৯ সঙ্কটের সময় প্রবর্তিত নমনীয় কাজের ব্যবস্থাগুলো কেবল কর্মীদের জন্যই ভালো নয় বরং উৎপাদনশীলতা, অর্থনীতি ও ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। গত শুক্রবার জাতিসংঘের শ্রম সংস্থার নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কর্মজীবনের ভারসাম্যের ওপর পরিচালিত গবেষণায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং তাদের কর্মীদের কর্মক্ষমতার ওপর কাজের সময় এবং সময়সূচির প্রভাবগুলো পরীক্ষা করেছে। কোভিডের আগে এবং চলাকালীন সময়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শ্রম সংস্থা। যেসব কর্মচারীদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি নিয়মিতভাবে প্রতি সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করছে, যেখানে বিশ্বব্যাপী কর্মশক্তির এক পঞ্চমাংশ প্রতি সপ্তাহে খণ্ডকালীন ভিত্তিক সময়ে ৩৫ ঘণ্টারও কম কাজ করছে। প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক জন মেসেঞ্জার বলেছেন, তথাকথিত ‘মহান পদত্যাগ’ ঘটনাটি মহামারি পরবর্তী বিশ্বে সামাজিক এবং শ্রমবাজারের সমস্যাগুলোর অগ্রভাগে কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রেখেছে। মেসেঞ্জার বলেছেন, কোভিড সংকটের সময় প্রবর্তিত উদ্ভাবনী কাজের সময়ব্যবস্থা বৃহত্তর উৎপাদনশীলতা এবং উন্নত কর্মজীবনের ভারসাম্যসহ দুর্দান্ত সুবিধা আনতে পারে। প্রতিবেদনটি দেখায়, আমরা যদি কোভিড সংকটের কিছু শিক্ষা প্রয়োগ করি এবং কাজের সময়গুলোর গঠন দেখি- আমরা উভয় ব্যবসার উন্নতি এবং একটি সন্তোষজনক কর্মক্ষমতা, কর্মজীবনের ভারসাম্য তৈরি করতে পারবো। কোভিড সঙ্কটের ব্যবস্থাগুলো শক্তিশালী প্রমাণও দিয়েছে। এতে দেখা যায়, শ্রমিকরা কীভাবে, কোথায়, কখন কাজ করে, সে সম্পর্কে নমনীয়তা এবং তাদের উলেখযোগ্য উৎপাদনশীলতা লাভের সঙ্গে ব্যবসা- উভয়ের জন্যই ইতিবাচক হতে পারে। বিপরীতভাবে, নমনীয়তা সীমাবদ্ধ করার ফলে উচ্চকর্মীদের চলে যাওয়াসহ যথেষ্ট খরচও হয়। কাজের সময় অনুসারে, দেশগুলোকে মহামারির সময়ের উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করা উচিত। যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বল্প সময়ের কাজের স্কিমগুলো, যা কেবল চাকরিই বাঁচায়নি বরং ক্রয়ক্ষমতাও বাড়িয়েছে। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাবগুলোকে উপশম করতে সহায়তা করেছে। এই প্রতিবেদন অনেক দেশে কাজের ঘণ্টার সংখ্যা কমাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর কর্ম-জীবনের ভারসাম্যকে উন্নীত করার জন্য একটি জননীতি পরিবর্তনের পক্ষেও সমর্থন করে।